চুয়াডাঙ্গা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন বছর আগের সনদ দেখিয়ে বেগম জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী সংস্থার তিন বছর আগের সনদ দেখিয়ে বেগম জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সাথে দেশবিরোধী চুক্তিকারী সংস্থা থেকে নেয়া সাড়ে তিন বছর আগের ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ নামক সনদ গণমাধ্যমে দেখিয়ে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে’।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংস্থা, যাদের নাম তেমন কেউ জানে না, জন্মও খুব আগে নয়, তারা তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যেটি মির্জা ফখরুল সাহেব ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। এই সার্টিফিকেট আবার সাড়ে তিনবছর আগে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে দেয়া। সাড়ে তিনবছর পরে হঠাৎ বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমের সামনে এসে কথাগুলো বললেন, তাতে পুরো বিষয় এবং বেগম জিয়াকে একটি লাফিং স্টক (হাস্যস্পদ) বানিয়ে দেয়া হয়েছে।’ ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিলো। সেই কানাডার তথাকথিত এক সংস্থা থেকে বিএনপি একটি সার্টিফিকেট কিনেছে, সেটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে। কিছু লবিস্ট ফার্মের সাথে বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে আবার কিছু ফার্মের সাথে বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছে। যে ‘অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ এর পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সনদ দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা বিএনপির পক্ষ হয়ে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য লবিস্ট ফার্মের ্র সাথে চুক্তি করেছিলো। তাদের কাছ থেকে বিএনপি একটা সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন । আর এখন সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখালেন -পুরো বিষয়টাই হাস্যকর।’ মন্ত্রী এসময় চুক্তিপত্রের কপি সাংবাদিকদের দেখান। ‘বিএনপি সাড়ে তিন বছর পরে কেন এটি দেখালো’ এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা হঠাৎ সাড়ে তিন বছর পরে কেন জানালেন এবং গণমাধ্যমের সামনে হাজির হইলেন, উহা তাহারাই বলিতে পারিবেন।’
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে আমাদের শিল্পী কলাকুশলীরা স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, বাংলাদেশি বেসরকারি চ্যানেলগুলো পশ্চিমবাংলায় প্রদর্শনের বিষয়টি কিভাবে সহজ করা যায় এবং আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকার কোলকাতা প্রতিনিধিরা কিভাবে সেখানে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে পারে সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’ মন্ত্রী আরো জানান, দু’দেশের অর্থায়নে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য তানভির মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই যুগ্মপরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার।

আপডেট : ০৯:২৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

তিন বছর আগের সনদ দেখিয়ে বেগম জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ০৯:২৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী সংস্থার তিন বছর আগের সনদ দেখিয়ে বেগম জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সাথে দেশবিরোধী চুক্তিকারী সংস্থা থেকে নেয়া সাড়ে তিন বছর আগের ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ নামক সনদ গণমাধ্যমে দেখিয়ে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে হাস্যস্পদ করেছে’।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংস্থা, যাদের নাম তেমন কেউ জানে না, জন্মও খুব আগে নয়, তারা তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যেটি মির্জা ফখরুল সাহেব ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। এই সার্টিফিকেট আবার সাড়ে তিনবছর আগে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে দেয়া। সাড়ে তিনবছর পরে হঠাৎ বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমের সামনে এসে কথাগুলো বললেন, তাতে পুরো বিষয় এবং বেগম জিয়াকে একটি লাফিং স্টক (হাস্যস্পদ) বানিয়ে দেয়া হয়েছে।’ ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিলো। সেই কানাডার তথাকথিত এক সংস্থা থেকে বিএনপি একটি সার্টিফিকেট কিনেছে, সেটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে। কিছু লবিস্ট ফার্মের সাথে বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে আবার কিছু ফার্মের সাথে বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছে। যে ‘অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ এর পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সনদ দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা বিএনপির পক্ষ হয়ে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য লবিস্ট ফার্মের ্র সাথে চুক্তি করেছিলো। তাদের কাছ থেকে বিএনপি একটা সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন । আর এখন সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখালেন -পুরো বিষয়টাই হাস্যকর।’ মন্ত্রী এসময় চুক্তিপত্রের কপি সাংবাদিকদের দেখান। ‘বিএনপি সাড়ে তিন বছর পরে কেন এটি দেখালো’ এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা হঠাৎ সাড়ে তিন বছর পরে কেন জানালেন এবং গণমাধ্যমের সামনে হাজির হইলেন, উহা তাহারাই বলিতে পারিবেন।’
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে আমাদের শিল্পী কলাকুশলীরা স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, বাংলাদেশি বেসরকারি চ্যানেলগুলো পশ্চিমবাংলায় প্রদর্শনের বিষয়টি কিভাবে সহজ করা যায় এবং আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকার কোলকাতা প্রতিনিধিরা কিভাবে সেখানে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে পারে সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’ মন্ত্রী আরো জানান, দু’দেশের অর্থায়নে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য তানভির মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই যুগ্মপরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার।