আজ ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতে গিয়ে ধরা পড়লেন আরেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে !

অনলাইন ডেস্ক।
সম্প্রতি একবারে ফিল্মি কায়দায় ‘এক হাসিনা দো দিওয়ানার’ ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর শহরে। ওই শহরের নিবাসী যোগেন্দ্র সিং পেট্রোল পাম্পের সামনে তার বান্ধবীকে নিয়ে পৌছলেই সেখানে উপস্থিত আরেক যুবকের সঙ্গে তুমুল মারামারি শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ওই দু’টি ছেলে জন্মদিন উদযাপন করতে তাদের বান্ধবীর সঙ্গে ছতরপুরে এসেছিল। এই দুই মেয়ের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশের মহোবার বাসিন্দা অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল সে।

মহোবার ছেলে যখন জানতে পারে যে তার বান্ধবী অন্য আরেকটি ছেলের সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছে, তখন সেও তাদের অনুসরণ করে ছতরপুরে পৌঁছয়। গন্তব্যস্থানে পৌঁছে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি আটকে নাটকীয় ভঙ্গিতে অনেক কথা কাটাকাটি ও হুমকিও চলে। তার গার্লফ্রেন্ড যে গাড়িতে যাচ্ছিল সেটি থামিয়ে সে গাড়িতে বসা ছেলেদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। এক সময় তর্কাতর্কি রীতিমতো হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় একটি ছেলের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ছেলেটি পরে জানায়, হাতাহাতির সময় তার নাকে আঘাত করা হয়েছে। মহোবার ওই ছেলেটি হাসপাতাল ও থানাতেও গণ্ডগোল করে।

পুলিশ জানিয়েছে যে লখনউয়ের বাসিন্দা বৈভব (বছর ২৫, বাবা চন্দ্রপাল সিং) তার বন্ধু সচিন তিওয়ারির জন্মদিন উদযাপন করতে ছতরপুরে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহোবার বাসিন্দা চঞ্চল ভার্মা এবং রিয়া সাহু। সচিনের জন্মদিন সেলিব্রেট করার পর এই চারজন যখন গাড়িতে করে ছতরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন বাসস্ট্যান্ডের কাছে যোগিন্দর পেট্রোল পাম্পের মোড়ে দু’টি ছেলে তাদের গাড়ির সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে দেয়। বাইকে বসা ভিকি তাদের গাড়িতে পাথর ছুড়ে হামলা করে। এই হামলায় বৈভবের মাথায় ও নাকে গুরুতর জখম হয়। ভিকি গাড়িতে বসে থাকা চঞ্চল ভার্মাকেও চুল ধরে টেনে নিয়ে যায়। তার হাতেও চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। চঞ্চল ভিকির বান্ধবী বলে জানা গিয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, রাত ৩টার দিকে পুরো ঘটনাটি ঘটে। আহতরা সবাই জেলা হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানেও গণ্ডগোল শুরু হয়। এদিকে ওই মেয়েটি তার বন্ধুকে ছেড়ে জেলা হাসপাতাল থেকে কোথাও চলে যায়। এই বিষয়ে সচিন তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা দুজনেই জন্মদিন উদযাপন করতে লখনউ থেকে এসেছি। মেয়ে দুটিও আমাদের সঙ্গে ছিল। কথা না বলেই আগত ওই ছেলেগুলো আমাদের মারধর শুরু করে।’’ যদিও সচিন কোনও পুলিশি ব্যবস্থা নিতে বা অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেন ৷

সূত্রঃ নিউজ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :