দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপ প্রদর্শনের জন্য বেশ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদী, উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর কিছু সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও কথা বলেন। তারা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ড. মোমেন পরিবেশবান্ধব জ¦ালানিতে রূপান্তরের জন্য সাশ্রয়ী প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য জি ৭-এর প্রতি আহ্বান জানান।
কেরি নিউক্লিয়ার মডুলার প্ল্যান্টের সম্ভাব্যতা বর্ণনা করেন, যা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং সৌর শক্তি চালিত সরঞ্জাম পরিচালনার জন্য দক্ষতা তৈরিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করনে।
কেরি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতাসহ বেড়িবাঁধের উচ্চতা ও প্রশস্তকরণের জন্য পরিকল্পিত প্রকল্পে আগ্রহ দেখান। তিনি এই উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় মার্কিন সহায়তার আশ্বাস দেন।
ড. মোমেন জরুরি ভিত্তিতে জলবায়ু কর্মপন্থার জন্য একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণে কেরির গুরুত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত অন্যান্য খাতের মধ্যে কঠিন বর্জ্য থেকে নির্গমন হ্রাসের জন্য বৈশ্বিক মিথেন অঙ্গীকারে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
Leave a Reply