চুয়াডাঙ্গা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও ফাগুন!

Padma Sangbad

রাশিদা-য়ে আশরার।

“ফুল ফুটুক আর না ফুটুক তবুও আসে বসন্ত” ফাগুন চলে যায় আবার ফিরে আসে প্রতিবছর আবহমান… মনের বনে অটুট থাক ফাগুন! কেউ যেন না বলতে পারে “বাঙালি শুধু কাঁদতে জানে হাসতে জানে না। একথা ঠিক, একটা সময় ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রাণপণ লড়াই মুক্তির সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম!
কালে কালে কালে কালর্ত্তীন্ন! স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে… নেই সেই তলাবিহীন ঝুড়ির খেতাব ও বাঙালি। পাল্টে গেছে জীবন- উন্নয়নের ধারায় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ!

“ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস- একই মাস ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক ভাষার মাস ২১ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস! কাজেই বাঙালির জনজীবনে ফেব্রুয়ারি একটি অন্যতম মাস, ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হয় মাসটি। অপরদিকে, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। শীত, হেমন্ত, শরৎ, বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, দুই মাস করে বারটি মাস। ঋতু পরিক্রমায় প্রতিটি ঋতু স্বমহিমায় উদ্ভাসিত ও উজ্জ্বল! সুখ-দুঃখ মিলেই মানুষের জীবন একই সময়ে কেউ হাঁসছে কেউ কাঁদছে! কারো বাড়িতে বিবাহ বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হই হুল্লোড় আনন্দমুখর পরিবেশ; কারো বাড়িতে মৃত্যু কান্না ও শোকের ছায়া!

সুখ-দুঃখ সহাবস্থানে অবস্থান। জীবনে সুখের সময়ে যেমন স্থায়ী নয় তেমনি দুঃখের সময়। সুখের সময় তাই সতর্ক থাকা উচিত কষ্টের সময় না আসে আর দুঃখের সময় ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন, সুখ একদিন ধরা দেবেই পর্যায় ক্রমে। কারণ সৃষ্টিকর্তা আছেন তিনি কখনোই এমন কষ্ট দেন না যা তাঁর বান্দা গণ সহ্য করতে পারেন না। আর কারো জীবনে যদি অনেক কষ্ট এসে থাকেও তা থেকে তিনিই সাহায্য করেন।
“কষ্টের মাঝেই স্বস্তি রয়েছে-নিশ্চয় কষ্টের মাঝেই স্বস্তি রয়েছে- সূরা ইনশিরাহ” তাই কারো জীবনে অনেক বেশি দুঃখ-কষ্ট এসে থাকলেও তার মধ্যেও অনেক অনেক বেশী নেকী থাকে যা পরবর্তী বা অনন্তকালের জীবনের জন্য অধিক পুণ্যের!

মূলত “পৃথিবীর জীবন একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র” এক জীবনে তাই সবকিছু সবাই পায়না একথায় অবধারিত ও চিরন্তন! সৃষ্টিকর্তা সকলকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা ও হালাল রুটিরুজি, এবাদত আমল- ক্ষমা প্রার্থনা করার তৌফিক দান করুন আমিন। সবার জীবনে কল্যাণ বয়ে আনুক প্রতিটি দিনক্ষণ, মাস ও বছর… বিদায় বসন্ত, বিদায়ী ফাগুন শুভেচ্ছা। প্রতিটি বাঙালির জনজীবনে ২১’শ ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য মনেপ্রাণে উৎসরিত হোক। উদ্ভাসিত হোক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বজুড়ে সগর্বে! ভাষা শহীদদের প্রতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আবারো জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!
২২০২

আপডেট : ০৫:১৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিদায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও ফাগুন!

আপডেট : ০৫:১৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

রাশিদা-য়ে আশরার।

“ফুল ফুটুক আর না ফুটুক তবুও আসে বসন্ত” ফাগুন চলে যায় আবার ফিরে আসে প্রতিবছর আবহমান… মনের বনে অটুট থাক ফাগুন! কেউ যেন না বলতে পারে “বাঙালি শুধু কাঁদতে জানে হাসতে জানে না। একথা ঠিক, একটা সময় ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রাণপণ লড়াই মুক্তির সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম!
কালে কালে কালে কালর্ত্তীন্ন! স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে… নেই সেই তলাবিহীন ঝুড়ির খেতাব ও বাঙালি। পাল্টে গেছে জীবন- উন্নয়নের ধারায় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ!

“ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস- একই মাস ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক ভাষার মাস ২১ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস! কাজেই বাঙালির জনজীবনে ফেব্রুয়ারি একটি অন্যতম মাস, ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হয় মাসটি। অপরদিকে, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। শীত, হেমন্ত, শরৎ, বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, দুই মাস করে বারটি মাস। ঋতু পরিক্রমায় প্রতিটি ঋতু স্বমহিমায় উদ্ভাসিত ও উজ্জ্বল! সুখ-দুঃখ মিলেই মানুষের জীবন একই সময়ে কেউ হাঁসছে কেউ কাঁদছে! কারো বাড়িতে বিবাহ বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হই হুল্লোড় আনন্দমুখর পরিবেশ; কারো বাড়িতে মৃত্যু কান্না ও শোকের ছায়া!

সুখ-দুঃখ সহাবস্থানে অবস্থান। জীবনে সুখের সময়ে যেমন স্থায়ী নয় তেমনি দুঃখের সময়। সুখের সময় তাই সতর্ক থাকা উচিত কষ্টের সময় না আসে আর দুঃখের সময় ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন, সুখ একদিন ধরা দেবেই পর্যায় ক্রমে। কারণ সৃষ্টিকর্তা আছেন তিনি কখনোই এমন কষ্ট দেন না যা তাঁর বান্দা গণ সহ্য করতে পারেন না। আর কারো জীবনে যদি অনেক কষ্ট এসে থাকেও তা থেকে তিনিই সাহায্য করেন।
“কষ্টের মাঝেই স্বস্তি রয়েছে-নিশ্চয় কষ্টের মাঝেই স্বস্তি রয়েছে- সূরা ইনশিরাহ” তাই কারো জীবনে অনেক বেশি দুঃখ-কষ্ট এসে থাকলেও তার মধ্যেও অনেক অনেক বেশী নেকী থাকে যা পরবর্তী বা অনন্তকালের জীবনের জন্য অধিক পুণ্যের!

মূলত “পৃথিবীর জীবন একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র” এক জীবনে তাই সবকিছু সবাই পায়না একথায় অবধারিত ও চিরন্তন! সৃষ্টিকর্তা সকলকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা ও হালাল রুটিরুজি, এবাদত আমল- ক্ষমা প্রার্থনা করার তৌফিক দান করুন আমিন। সবার জীবনে কল্যাণ বয়ে আনুক প্রতিটি দিনক্ষণ, মাস ও বছর… বিদায় বসন্ত, বিদায়ী ফাগুন শুভেচ্ছা। প্রতিটি বাঙালির জনজীবনে ২১’শ ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য মনেপ্রাণে উৎসরিত হোক। উদ্ভাসিত হোক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বজুড়ে সগর্বে! ভাষা শহীদদের প্রতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আবারো জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!
২২০২