নিজস্ব প্রতিবেদক।
বর্তমানে সমাজ ও দেশের জন্য মাদকাসক্তি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । মাদকের নীল নেশা আজ তার বিশাল থাবা বিস্তার করে চলেছে এ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । এ এক তীব্র নেশা । হাজার হাজার তরুণ এ নেশায় আসক্ত । এ মরণনেশা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা না গেলে এ হতভাগ্য জাতির পুনরুত্থানের স্বপ্ন অচিরেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে । আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য অংশ আজ এক সর্বনাশা মরণনেশার শিকার । যে তারুণ্যের ঐতিহ্য রয়েছে সংগ্রামের , প্রতিবাদের , যুদ্ধ জয়ের , আজ তারা নিঃস্ব হচ্ছে মরণনেশার করাল ছোবলে । মাদক নেশার যন্ত্রনায় ধুঁকছে শত – সহস্র তরুণ প্রাণ । ঘরে ঘরে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা । ভাবিত হচ্ছে সমাজ ।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০১ মার্চ ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, সিপিসি-২ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন কুতুবপুর বাজারস্থ এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোম্পানী অধিনায়কের নেত্তৃত্ত্বে আভিযানিক দলটি উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করার নিমিত্তে ০১ মার্চ ২০২২ তারিখ ১৩:৩০ ঘটিকার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন কুতুবপুর গ্রামস্থ কুতুবপুর বাজার এর মিতা ফার্মেসীর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী ১। মো: মোতালেব মিয়া(৩৭), পিতা- মৃত সবদ আলী, সাং-আমিরপুর, থানা- চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা এবং ২। মো: জাহাঙ্গীর হোসেন(৩৮), পিতা- মো: তাহের মন্ডল, সাং-রায় লক্ষীপুর, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা- চুয়াডাঙ্গাদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ০৬ কেজি গাঁজা, ০২টি মোবাইল ও ০৪টি সিম কার্ডসহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
Leave a Reply