ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের দরীদ্র পানচাষী কামিরুল ইসলাম। একমাত্র পুত্র সন্তান নয়ন-কে ঘিরেই তার জগৎ সংসার। কখনো ছোট্ট চায়ের দোকানে আবার কখনো এক খণ্ড জমির পান বরোজে কেটে যেতো তার সারাদিন। তবে এখন আর ভালোভাবে কাটছে না তার দিন। প্রতিদিনেই তার চোখের জ্বল মুছতে মুছতে দিনের আলো শুরু হয়, আবার এক ফোটা অশ্রুকণা দিয়েই শেষ হয় তার দিন।এমনই এক অশ্রুঝরা কণ্ঠে কামিরুল বলেন, আমি গরিব ঘরের সন্তান বলে এই সমাজের প্রভাবশালী ভিকু মণ্ডলের ছেলে ওল্টু মণ্ডল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার সহধর্মিণীকে আমারই ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে রাগান্বিত হয়ে রাতের আধারে তার দল বল নিয়ে আমার ১২ শতক জমির পান ক্ষেত কেটে ও উপড়িয়ে দেয়। লাগাতার ভাবে আমার ও আমার পরিবারের উপর জুলুম ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে চললে আমি নিরুপায় হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।এদিকে হরিশপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের পুত্র আরিফুল ইসলাম জানান, কামিরুলের সাথে তার পুর্ব থেকেই শত্রুতা চলছে। সেদিন ওল্টুর সাথে কথা কাটা কাটি হয়। তার পর পরই রাতে কামিরুলের ১২ শতক জমির বরজের সব পানগাছ কেটে দিয়েছে। আমি এই রকম ক্ষতিসাধন ঘটনার সাথে জড়িত এক বা একাধিক ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।এঘটনায় জোড়াদাহ ইউনিয়নের ৭ নং ওর্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, শুনেছি কামিরুলের স্ত্রীরর শ্লীলতাহানির ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার সামনেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমি কোনো ভাবে তাদের মিমাংশ করার চেষ্টা করি। তারপরের দিন শুনলাম কামিরুলের পানের বরজ কাটে দেয়ার ঘটনা। আমি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করছি।এদিকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ,এস,আই আনিছুর রহমান অভিযোগ ও মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৪ এপ্রিল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে, মামলাটি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply