রাশিদা য়ে আশরার।
সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেছেন,
“তোমরা একে অন্য ধর্মের লোকদের সাথে গালমন্দ করো না, তোমরা অন্য ধর্মের লোকদের গালি দিলে তোমার আল্লাহকে ও তারা গালি দেবে।”
ধর্মের উপর জোর জবর দোস্তি নয়, এক এক ধর্মের ধর্মীয় অনুভূতি, রীতি নীতি ভাবগাম্ভীর্য এক এক রকম, তাই নিয়ে কখনোই বাড়াবাড়ি করা কখনোই উচিত নয়।
অথচ সমাজে এখন সামান্য কারণেই ঝগড়া বিবাদ, মারামারি- কাটাকাটি তুলকামাল কান্ড।যার যার ধর্ম তার নিকটে অতি আপন,এখানে কেউ কারো কোনো বিরূপ মন্তব্য বা আঘাত করুক তা কেউ সহ্য করতে পারেনা। ধর্মীয় অনুভূতির জায়গাটিকে তাই যার যার অবস্থান থেকে সম্মান করা উচিত!
একজন মানুষ হিসাবে কর্তব্য সুন্দর আচরণ করা; সুন্দর ব্যবহার ও আচরণ এর পুরস্কার সব চেয়ে বেশী, সুন্দর আচরণ মিজানের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী!
তাই কোনো মুসলমান যদি নিজ ধর্ম বা অন্য কোন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, মন্দ কথা ও অসৎ আচরণ করে থাকেন তা হবে তার জন্য অনেক কঠিন শাস্তি যোগ্য অপরাধ। আর সুন্দর আচরণ ব্যবহার করলে অবশ্যই তার পুরস্কার অনেক বড় বেশি এই কথাটিই মাথায় রাখা উচিত। পৃথিবীর জীবন সব নয় অনন্তকালের জীবনের জন্য নিজেদেরকে সংযত করা প্রয়োজন।
মানুষ কে কেমন তার মুখের ভাষা-কথাবার্তা, আচার- আচরণে সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। এমনকি এতে করে বংশের পরিচয় ও উঠে আসে।কেউ অনেক কর্কশ স্বরে কথা বললে তখন ভালো কথাও শুনতে খারাপ লাগে, এমনও আছে কেউ একজন রাগ করে বা গালি দিলেও তার কথায় মুক্ত ঝরে। কথায় গুন- আবার কথাতেই খুন।
বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে নেই মায়া- মমত্ববোধ, সহনশীলতা ও ধৈর্য, বড়দের প্রতি সম্মান ছোটদের প্রতি স্নেহ। যার কারণে পরিবারে, সমাজে দ্বন্দ্ব সংঘাত নিত্যনৈমিত্তিক। খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবই সমান,এক রক্ত- মাংসের শরীর ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু আলাদা মত- আলাদা পথ, তবুও একটাই পরিচয় মানুষ। অথচ মানবতা-মনুষ্যত্ব ও বিবেক বোধের অবক্ষয়ের কারণে অহরহ অসহনশীল ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির অবতারণা হয়। মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে সকলেই সচেতন- সহানুভূতিশীল হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে সকলে রেহাই পায়!
সব ধর্মের ও জাতির প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও সহনশীল না হলে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় থাকে না। সাম্য ও ঐক্য ছাড়া জাতি বা দেশ উন্নতি করতে পারে না। প্রতিদিন দেশ-বিদেশে ও সারাবিশ্বে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যা কখনোই মানবজাতির জন্য, সমাজ ও দেশের জন্য শুভকর নয়। কল্যাণ বয়ে আনে না বরং অরাজকতার সৃষ্টি করে; সাম্য-সম্প্রীতি এবং ভাতৃত্বের বন্ধন সমগ্র মানব জাতির মানবিক অধিকার!
এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে আবহমানকাল ধরে যুদ্ধ-বিগ্রহ দেশ দখলকে কেন্দ্র করে। আমাদের দেশ ও অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে! মানুষে মানুষের প্রতি
একটু মানবিক হলে পৃথিবী অনেক বেশি শান্তিময় হতে পারে। জয় বাংলা জয় হোক বিশ্ব শান্তির।
২০২২
Leave a Reply