বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ।গ্রামীণ জীবনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি; নানা রূপ নানা রং ঋতু বৈচিত্রের সমাহার। খোলা প্রান্তর সবুজের হাতছানি-অবারিত মাঠ, পাখির ডাক,নদ- নদীর কলতান, ফুল ফসলের
সৌরভ; মন ছুটে যায় নৈসর্গিক প্রকৃতির নির্জনতায়! জীবনের ব্যস্ততা বা বাস্তবতার বাইরেও অন্য এক জগত আছে প্রকৃতি তা জানিয়ে দেয় !
স্বভাবগত,স্থান অবস্থানের কারণে সব মানুষ বদলাতে পারেনা,জীবনের টানপড়োন ও সময়ের কাছে হেরে যায়। যেতে পারে না নিজের দুঃখ-কষ্ট ও দৈনতার বাইরে তাই কারো জীবনে আসে সুসময়, কারো জীবনে কখনোই নয়। শত কষ্ট যন্ত্রণা বুকে সয়ে একটা জীবন এভাবেই পার করে দেয়। সান্তনার ভাষা হয় এক জীবনে সবাই তো সবকিছু পায়না। তাইতো মানুষ মহৎ এমনকি ফেরেশতাদের চেয়েও। সবার আগে ভালো মানুষ হওয়া চাই, সুন্দর আচরণ ও কৃত কর্মের দ্বারা তাহলেই মানুষ ছাড়িয়ে যেতে পারে নিজেকে সুখ-দুঃখের ঊর্ধ্বে উঠে! পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী তাই এখানে কোন কিছুই নিজের নয়।যে যেখানে আছেন গ্রাম বা শহরে, দেশে বা বিদেশে যে যেভাবে বসবাস করেন, সব কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ।
শহরের জীবন জাপন ও প্রকৃতি ইট পাথরের মত শক্ত, যারা গ্রামে বাস করে বা অভ্যস্ত, অনেকেই পারে না শহরের ধুলোময় ধূসর জীবনে নিজেকে মানিয়ে নিতে। কারণ তীব্র যানজট, লোক সরগরম, চুরি ছিনতাই, অনিয়ম নানান প্রতিকূল পরিবেশ; প্রতিমুহূর্তে ঘটনা-দুর্ঘটনায় তিক্ততায় ভরে ওঠে মন প্রাণ! শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ সবকিছু মিলিয়ে-ফুরিয়ে যায় সহজ সরল অভিব্যক্তি;চার দেয়ালের মাঝে বন্দী জীবন! পরিবেশ ও প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ ছন্নছাড়া ভাবেই বয়ে যায় বৈচিত্র হীন কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত সময়!
তবুও বেঁচে থাকার আশা-আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনে সব সময় থাকে কারণ মৃত্যু মানে কবর জীবন। সৃষ্টিকর্তা শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষকে প্রেরণ করেছেন, দিয়েছেন কথা বলার, ভাবনা-চিন্তার স্বাধীনতা। মনুষ্যত্ব বিবেক বুদ্ধি। মানুষ চাইলে ও প্রচেষ্টা দ্বারা সঙ্গে ভাগ্য সহায় হলে-নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। অপরদিকে,কবরের জীবন খুবই দুঃসহ সেখানে মানুষ অসহায়। মৃত্যু মানেই একস্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর আত্মা ওমর, মৃত্যুর পর আত্মা পরমাত্মা হয়ে বেঁচে থাকে কবর জীবনে, আর সেখানে পৃথিবীর কৃতকর্মের ফল স্বরূপ কবরের আযাব বা সাজা ভোগ করতে থাকে নিয়ত। সঙ্গত কারণেই জীবন-মৃত্যু অপেক্ষা শ্রেয়।
২০২২
Leave a Reply