রাশিদা-য়ে আশরার।
পৃথিবীতে যত সম্পদ আছে সবচেয়ে দামি মাতা ও পিতা। তাদের স্নেহ-ভালোবাসার সঙ্গে আর কোন কিছুর তুলনা হয় না। তাই পিতা-মাতার স্থান হোক প্রতিটি সন্তানের বুকের গভীরে অন্তরের অন্তস্থলে; মনের মনিকোঠায়- বৃদ্ধাশ্রমে নয়! মানুষের প্রতি মানুষের সুসম্পর্ক,ঋদ্ধতা,মমত্ববোধ,শ্রদ্ধা স্নেহ ও সহানুভূতির জায়গাটি এখন শূন্যের কোঠায়!
উপলব্ধির জায়গাটিতে ধরেছে ঘুন। মানুষ এতটাই স্বার্থপর হয়ে উঠেছে যে নিজের স্থান-অস্তিত্ব,জন্মদাতা মাতা-পিতাকে ভুলে সন্তানেরা ঠেলে দিচ্ছে নির্দ্বিধায় বৃদ্ধাশ্রমে জীবনের শেষ সময়ে।
‘মা’ এ জগতের হিমশীতল ছায়া- জান্নাতের সুমিষ্ট বাগান। মায়ের আঁচল তলে লুকিয়ে কেটে যেত দুঃখ! পিতা-মাতার দোয়া আশীর্বাদ যেমন ফল স্বরূপ;
তেমনি তাঁদের বদদোয়া ক্ষতির কারণ। যদিও তাঁরা করেন না তবুও মুখ ফুটে একটা দীর্ঘনিশ্বাসও অনেক ভারী! তাই আসুন জান্নাতের খোঁজ করি। আল্লাহ জান্নাতের ৮-টি দরজার মধ্যে দু’টি দরজা ‘আব’ ও ‘আম’ নামে তাঁদেরকে দান করে করেছেন মহিমান্বিত!
“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত বা জান্নাত।” একথা আমরা শুনে শুনে বড় হয়েছি কিন্তু মূল্যায়ন করিনা। শুধু সুশিক্ষায় নয়, স্বশিক্ষায় শিক্ষা লাভ করুন। সময় থাকতে সকলেই মনেপ্রাণে ধারণ করুন তাঁরা জীবিত অবস্থায় থাকতেই।জীবিত জান্নাত কে পায়ে না ঠেলে বুকে জড়িয়ে ধরুন, তাঁদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুন।
সত্যের জয় মিথ্যার ক্ষয় হয় সব সময়-হোক সত্য
যতই অবহেলিত, ক্ষণস্থায়ী জীবনটা কে আধুনিকতার অতিশয্যে বিলিয়ে না দিয়ে অনন্তকালের জীবনের সন্ধানে ব্রত হোন। মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য যতটুকু সম্ভব পাশে দাঁড়ান। নিজের সৎকর্ম টাই শুধু অমর হয়ে থাকবে- পাবেন সৎকর্মের পুরস্কার । পৃথিবীর সমস্ত মা-বাবার প্রতি রইল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। যত মা-বাবা ইন্তেকাল করেছেন করবেন; তাঁদের জন্য দু’আ ও ক্ষমা প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তার নিকট। তাঁরা যেন শান্তিতে থাকেন- জান্নাত নসিব প্রাপ্ত হন আমীন।
২০২২
Leave a Reply