আজ ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানী থেকে ঈদে ঘরে ফেরার ধুম

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস শেষ। তাই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিসেই বিকেলে দ্রুত বাড়ি যাওয়ার তোড়জোর।

শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার মে দিবসের সরকারি ছুটি। এর পরের দিন থেকে তিন দিনের ঈদের ছুটি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ঈদ হতে পারে ৩ মে। সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি দেখানো আছে ২, ৩ ও ৪ মে।

মাঝে বৃহস্পতিবার এক দিন ছুটির ব্যবস্থা করতে পারলে পরের দুটি সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৯ দিনের অবসর কাটানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।

করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে শহর থেকে গ্রামমুখো যাত্রা ছিল সীমিত। করোনার তৃতীয় ঢেউ এবার নিয়ন্ত্রণে আসার পর বলতে গেলে কোনো বিধিনিষেধই নেই। এ কারণে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা বেশি হবে- এটা ধরেই নেয়া যায়।

ট্রেন-বাসের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। ঈদযাত্রার প্রথম দিন থেকেই ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মহাসড়কে চাপও বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে অবশ্য ভোগান্তির কথা ভেবে আগেভাগেই বাড়ি চলে গেছেন। কর্মজীবীদের কেউ কেউ আবার পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়েছেন নিজে পরে যাবেন বলে।

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় এরই মধ্যে যানবাহনের চাপ কমার বিষয়টি স্পষ্ট। বাসে উপচে পড়া ভিড় নেই, রোজার শুরু থেকে যে দুঃসহ যানজট দেখা দিয়েছিল, সেটিও কমেছে অনেকটাই। ফলে শহরের ভেতরে যাতায়াত কিছুটা হলেও দ্রুততর হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজধানীর প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার রাস্তাগুলোয় এখন হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বাসের পাশাপাশি মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারের চাপও বেড়েছে।

সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সত্ত্বেও মোটরসাইকেলে করে দীর্ঘ যাত্রার প্রবণতাও স্পষ্ট। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের মধ্যে যতজনের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ৪০ শতাংশেই থাকে বাইক আরোহী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :