আজ ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা ইস্যু খোলসা করেনি ভারত

অনলাইন ডেস্ক।।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও এর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছুই জানায়নি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কোন মন্তব্য করেননি মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, র‍্যাবের ওপর থেকে আমেরিকা যাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়—সে ব্যাপারে প্রতিবেশী ভারতের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ।

মন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিষয়ে দিল্লিতে আজকের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘ভারত কি সত্যিই বাংলাদেশের কাছ থেকে এ ধরনের কোনও অনুরোধ পেয়েছে? আর পেলে ভারত কীভাবেই বা সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে?’

জবাবে অরিন্দম বাগচী বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় রয়েছেন। ওই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করবেন– বস্তুত একটু বাদেই বৈঠকগুলো শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে এখানে বসে বিষয়টা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন বোধ করছি না। আমরা আগেই কোনও অনুরোধ পেয়েছিলাম কিনা, বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হলো কিনা– সেটা বলাটা এখন ঠিক হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকটা তো আগে হোক। তারপরে না হয় দেখা যাবে আমরা কোনও ডিটেলস শেয়ার করতে পারি কিনা! তবে হ্যাঁ, আমরাও সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট দেখেছি যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের একটা মন্তব্য করেছেন।

সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যোগ করেন, তবে এটাও বলার যে সত্যিই কোনও দেশ যদি আমাদের এরকম অনুরোধ জানিয়েও থাকে এবং তার ভিত্তিতে আমরা কোনও পদক্ষেপ নিয়েও থাকি– সেটা বোধহয় আমরা প্রকাশ্যে নাও জানাতে পারি।

তাই বলবো, আপনারা বরং মি. জয়শঙ্করের ঢাকা সফর শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। দেখা যাক, আমরা আদৌ কিছু জানাতে পারি কিনা—বলেন অরিন্দম বাগচী।

দিল্লিতে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না-করলেও মুখপাত্র একবারের জন্যও তা কিন্তু অস্বীকারও করেননি। ফলে পর্দার আড়ালে দিল্লি ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে, এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :