অনলাইন ডেস্ক।।
২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৭ জন এবং নিহত হয়েছে ২২৭ জন। স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ‘সেভ দ্য রোড’ এ তথ্য দিয়েছে।
বাংলাদেশের ৩১টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যের পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোডের স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ঘটা ৮৮৪টি দুর্ঘটনায় আহত ৬৭১ এবং নিহত হয়েছে ১৬০ জন। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ঘটা ৪৭৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩৪০ এবং নিহত হয়েছে ১৪৬ জন।
খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ঘটা ৬১৫টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৪৪৫ এবং নিহত হয়েছে ২১১ জন। পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩৯টি এতে আহত হয়েছে ৬২১ জন এবং ২১০ জন নিহত হয়েছে।
১-৩০ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রাপ্ত সড়কপথ দুর্ঘটনার তথ্য
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩৮ টি। আহত ৪৩৪ জন, নিহত হয়েছে ৩৩ জন।
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১২ টি। আহত হয়েছে ১৮৬ জন, নিহত হয়েছে ৪২ জন।
১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ্য হয়েছেন অর্ধশতের বেশি মানুষ।
প্রতিবেদনে ‘সেভ দ্য রোড’ জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মোটর সাইকেল যোগে চলাচল বৃদ্ধি পাবে, সেহেতু এই বাহনে চলাচলকারীদেরকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে চলাচলে বাধ্য করতে পুলিশকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সাথে প্রচণ্ডরকম ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে রেলওয়ে, নৌ ও হাইওয়ে পুলিশকে দুর্নীতিমুক্তভাবে যথাযথ দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারিকে ছুটি বাতিল করে ‘পর্যবেক্ষণ টিম’ গঠন করে ঈদের পরে ৪ দিন পর্যন্ত তদারকিতে নিয়োজিত রাখতে হবে।
এতে করে প্রায় ৭ কোটি মানুষের ঈদযাত্রা-ঈদফেরা দুর্ঘটনামুক্ত হবে বলে সেভ দ্য রোড বিশ্বাস করে।
Leave a Reply