চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা।।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে কামাল হোসেন (৬৩) নামে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ৯ মে রাত সাড়ে ১১ দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমের সামনে তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমে ভর্তি করে। তার অবস্থা অবনতি দেখে পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক ডা: আহসানুল হক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশায় ঠিকাদার ছিলেন।
নিহত কামাল হোসেন জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ মাঝের পাড়ার মৃত জাহান মাস্টারের ছেলে।
নিহত কামালের স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, আমার স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল স্বাধীনের। এর জের ধরেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যুর আগে তার স্ত্রীর কাছে স্বাধীন তাকে মেরেছে বলে জানায়। এরপর চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: আহসানুল হক জানান, রাত ১২টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
তিনি আরো জানান, তার বাম পায়ের হাটুর নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান কান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে, বিধায় মাথায়ও আঘাত আছে। তাছাড়া পিঠে দলানো চটকানোর দাগ রয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে একটি ক্লিনিকে নেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে আমরা অভিযোগ পেয়েছি স্বাধীন নামের এক যুবকের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ ছিল। তার জের ধরেই হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্ত স্বাধীনকে আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফজ্জামান শরীফ জানান, তিনি বিএনপি নেতা ছিলেন। আমি তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।।
Leave a Reply