মোঃ শহিদুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা।।
কোটচাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় অশানির প্রভাবে পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন। কয়েক দিন ধরে ভারি ও গুড়ি গুড়ি বর্ষণে হাজার হাজার একর পাকা ধানসহ সজীব ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা, মরিচসহ নানা রকম ফসলের ক্ষেত।
মাঠে মাঠে কেটে রাখা ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বছরের খোরাকি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রোপণকৃত শত শত বিঘা জমির শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ধানের উপর পানি ওঠে গেছে। উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষক লিটন বলেন, নয় বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। দুই বিঘা ধান আটি কেটে বাড়িতে এনেছি। চার বিঘা জমিতে কাটা রয়েছে। সব পানির নিচে তিন বিঘা কাটতে পারেনি। বরগা চাষি শিপন বলেন, দুই বিঘা জমি বরগা নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম জন না পাওয়ার কারণে আগে কাটতে পারেনি বাতাসে পড়ে গিয়ে সব ধান পানির নিচে। নজরুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা শুকনো জমির ধান কাট, বান্দা, বাবদ জন কে দিতে হচ্ছে চার হাজার টাকা। পানি বাঁধা জমিতে আটি কাটতে দিতে হচ্ছে ছয় হাজার টাকা তার পরেও জন পাওয়া যাচ্ছে না। এবার পানিতে সব শেষ না খেয়ে মরতে হবে।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা মহাসিন আলী জানান, এ মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কৃষকেরা ৩৫% ধান কাটতে পেরেছে। বাদবাকি কাটতে পারেনি আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু করার নেই। তার পরেও আমরা মাইকিং করেছি, হ্যারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে কাটা শুরু হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে ক্ষতি গ্রস্ত এলাকা আমরা প্রাথমিক ভাবে মনিটরিং করছি। কয়েকদিন পরে চূড়ান্ত তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ সরকারকে জানিয়ে দেব। যদি সরকার প্রণোদনা দেয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ভাইদের মাঝে সেটি বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply