ভারত তথ্য জানালেই পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে আইনি ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ভারত জানালেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অফিসিয়ালি কাগজ পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পি কে হালদার বাংলাদেশে ওয়ারেন্টেড ব্যক্তি। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সে গ্রেফতারে হয়েছে, তবে আমাদের কাছে এখনও অফিসিয়ালি কিছু (তথ্য) আসেনি। অফিসিয়ালি কাগজপত্র পাওয়ার পর আইনগত যে প্রচেষ্টা আমরা সেগুলোও অব্যাহত রাখবো। আমরাও তাকে ফেরত চাইবো আমাদের মামলাগুলোর জন্য।’
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। আজ যেখানেই যাবেন সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাকে বারবার দরকার।
গতকাল শনিবার ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেফতার হওয়ার কথা জানানো হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের খেলাপিদের মধ্যে একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১১:৪৯:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

ভারত তথ্য জানালেই পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে আইনি ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ১১:৪৯:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

দৈনিক পদ্মা সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ভারত জানালেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অফিসিয়ালি কাগজ পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পি কে হালদার বাংলাদেশে ওয়ারেন্টেড ব্যক্তি। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সে গ্রেফতারে হয়েছে, তবে আমাদের কাছে এখনও অফিসিয়ালি কিছু (তথ্য) আসেনি। অফিসিয়ালি কাগজপত্র পাওয়ার পর আইনগত যে প্রচেষ্টা আমরা সেগুলোও অব্যাহত রাখবো। আমরাও তাকে ফেরত চাইবো আমাদের মামলাগুলোর জন্য।’
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। আজ যেখানেই যাবেন সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাকে বারবার দরকার।
গতকাল শনিবার ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেফতার হওয়ার কথা জানানো হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের খেলাপিদের মধ্যে একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।