সুচিত্রা রায়:
স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সন্দেহ রাজু শেখ (৩৫)নামে এক পোশাক শ্রমিককে সারারাত আটকিয়ে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে ।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার দিয়াখালী তাজপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার পোশাক শ্রমিক রাজু শেখ কুড়িগ্রাম জেলা ভুরুঙ্গামারী থানা ভোট গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে। সে স্থানিয় পোশাক কারখানায় জেকার অপারেটর হিসেবে কাজ করে।
জানা যায়, গত দুমাস আগে রাজু শেখ ও তার স্ত্রী কল্পনা খাতুন দিয়াখালী তাজপুর গ্রামের মাজন মন্ডলের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়। তবে তার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় গত মাসে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। রাজু একাই থাকতো বাসায়। এদিকে বাড়িওলা মাজন মন্ডলের দুই স্ত্রী, ছোট স্ত্রীর সাথে ভারাটিয়া রাজু শেখের পরকীয়া আছে এমন সন্ধেহে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বাসা থেকে ডেকে দিয়াখালী বিলের মাঝখানে নিয়ে মারধর করে। পরে গভীর রাতে ফের বাসায় এনে রুমে আটকিয়ে সারারাত মারধর করে এবং বটি দিয়ে গলা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। একপর্যায় ভোর বেলা পালাতে সক্ষম হয় রাজু।
এব্যাপারে রাজু শেখ বলেন, আমি মাত্র দুমাস আগে মাজন মন্ডলের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেই।আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় গত মাসে বাড়িতে যায়। গতকাল রাতে বাসা থেকে ডেকে বিলে নিয়ে যায় মাজন মন্ডল। ওখানে নিয়ে আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর করতে থাকে আর বলে, আমার বউ এর সাথে তোর সম্পর্ক আছে। এরপর অনেক রাতে বাসায় নিয়ে আসে। রুমে আটকিয়ে ফের মারতে থাকে। পরে আমি সকালে পালিয়ে শ্রমিক নেতা সারোয়ারের অফিসে আসি।
শ্রমিক নেতা সারোয়ার বলেন, সন্দেহ করে একজন শ্রমিকের ওপর এমন অত্যাচার একেবারে অমানবিক। ছেলেটি সকালে আমার অফিসে এসেছে,সব কথা শোনলাম। তাকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
এব্যাপারে বাড়িওলা মাজন মন্ডল বলেন, আমার নামে অহেতুক বদনাম করছে। সে নিজেই আত্মহত্যার জন্য রাতে কবরস্থান গিয়ে ছিল।আমি তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন শুনছি আমি নাকি মারধর করেছি।।
Leave a Reply