মোঃ শহিদুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা।।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা দোড়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে জানাযায়। নিহত গৃহবধূ উপজেলার বহরমপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ শান্তা ইসলাম (২২)। নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানাযায়, ১১ মাস আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার দোড়া গ্রামের সুলতান মুন্সির ছেলে রুবেল মুন্সির (২৫) এর সাথে। গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ১০ টার সময় স্বামীর বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহতের খালা জয়বুননেছা জানান আমার বাড়ি থেকে একটু দুরে আমার বোনের মেয়ের বিয়ে হয় রুবেলের সাথে। পাশের বাড়ির এক জন বলে শান্তা গলায় দড়ি দিয়েছে। তখন আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি শান্তাকে তাঁর স্বামীর পাশের বাড়িতে কয়েকজন মিলে হাত কাঁধে তুলে হাটাচ্ছে। তখন তারাতাড়ি করে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশরাফুল ইসলাম পরিক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনতেই সাথে আসা শান্তার শুশুর, শাশুড়ি রাতেই মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে জানান। নিহতের দুলাভাই মাজেদুল ইসলাম ( মন্টু) জানান শান্তার বিয়ে হয়েছে ১১ মাস আগে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুক সহ বিভিন্ন দাবি তুলে নির্যাতন করতে শুরু করে রুবেলের পরিবার। যার কারণে এক পর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। গত রোজার সময় ওর শুশুর বাড়ির লোকজন ভুল শিকার করে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তার সুখের কথা ভেবে একটি গরু সহ সংসারের যাবতীয় জিনিস পত্র দিয়ে আবার পাঠানো হয়। এ বিষয় জানতে মডেল থানার ডিউটি অফিসার এস আই মাসুদ এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা কি আত্মহত্যা বলা সম্ভব না।।
Leave a Reply