আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রেলপথ খাতে ১৮,৮৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব

দৈনিক পদ্মা সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রেলপথ খাতে ১৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য এই বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন।
গত অর্থবছরে এই খাতে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও স্বল্প খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এ খাতের সমন্বিত ও সুষম উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০৪৫) সংশোধিত মহাপরিকল্পনা অনুসারে রাজধানী ঢাকার সাথে কক্সবাজার, মোংলা বন্দর, টুঙ্গীপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও আঞ্চলিক রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপন এবং উন্নত কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরসমূহের সাথে নিকটবর্তী শহরতলীর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ মহাপরিকল্পনার আওতায় ৬ ধাপে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় রেলওয়ের জন্য ৭৯৮.০৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, বিদ্যমান রেললাইনের সমান্তরালে ৮৯৭ কি.মি. ডুয়েল গেজ/ডাবল রেললাইন নির্মাণ, ৮৪৬.৫১ কিলোমিটার রেল লাইন সংস্কার, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেইটসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ, ওয়ার্কশপ নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, ১৬০টি লোকোমোটিভ, ১,৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশন সিগনালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নসহ রেলওয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। এছাড়া, যমুনা নদীতে ডাবল ট্র্যাক ডুয়েলগেজ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। এছাড়া, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী গুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ কাজের ৭১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার পায়রা বন্দরকে পদ্মা রেললিংকের সাথে সংযুক্ত করতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হতে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :