আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টাকা সাদা করার সুযোগ নেই

অনলাইন ডেস্ক।।

অতিরিক্ত জরিমানা দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার বিদ্যমান যে সুযোগ দেয়া আছে, আর রাখছে না সরকার।

অর্থবিল-২০২২ এ বলা হয়েছে, কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান যে সুযোগটি রয়েছে, তা বিলোপ করা হলো। এর পরিবর্তে বিদেশে পাচার করা অর্থ নির্ধারিত কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যা ১৯ এর (এফ) ধারা হিসেবে যুক্ত করা হয়।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সব সরকারই টাকা বৈধ করার সুযোগ দিয়ে এসেছে। যে অর্থবছরটি শেষ হতে যাচ্ছে, সেখানেও শর্তসাপেক্ষে এই সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় আনতে ও দেশে বিনিয়োগ চাঙা করতে চলতি অর্থবছরে শেয়ারবাজার, সঞ্চয়পত্র, জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেউ উল্লিখিত খাতগুলোতে প্রযোজ্য হার এবং তার সঙ্গে ‘অতিরিক্ত’ ৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার ঘোষণা দিতে পারেন। এ জন্য এনবিআর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কিংবা সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা তাদের আয়ের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলবে না।

আগের অর্থবছরে ওইসব খাতে শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঢালাওভাবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এ কারণে মোটামুটি সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু এবার শর্ত কিছুটা কঠোর করায় তেমন সাড়া মেলেনি।

এনবিআরের সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে শেয়ারবাজার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে সরকার যে সুযোগ দিয়েছে, তাতে কালো টাকার মালিকদের পক্ষ থেকে কম আগ্রহ মিলেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে মাত্র ২ হাজার ৩১৩ জন ঘোষণা দিয়ে টাকা সাদা করার সুযোগ নেন। এর বিপরীতে সরকার কর পেয়েছে মাত্র ৯৫ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে ১২ হাজারের বেশি মানুষ এই সুযোগ নিয়েছিল। বিপরীতে সরকার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কর পায়।

বাজেটের বাইরে দুটি খাতে আগে থেকেই কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বহাল রয়েছে। ১০ শতাংশ কর দিয়ে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করলে আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগেও একই সুবিধা দেয়া আছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ সুযোগ অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :