অনলাইন ডেস্ক।
কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে আগে থেকেই। বিশেষ করে যেসব শ্রমিকরা স্টেডিয়াম তৈরি করেছিল, তাদের যথাযথ পেমেন্ট দেওয়া থেকে শুরু করে শরীরের খেয়াল রাখা হয়নি। একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে। এই নিয়ে অনেক প্রাক্তন ফুটবলার নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবার আরও একটা সমস্যা ফুটবল দর্শকদের জন্য তৈরি হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েক মাস পরেই কাতারে ফুটবলের সেরা আসর বসতে চলেছে।
বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলা দেখতে যাওয়ার বাইরে বেশ কিছু কাজের উপর থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সে দেশে এক রাতের ‘অবৈধ’ যৌনমিলনের (ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড) জন্য হতে পারে সাত বছরের জেল। বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই দেখা যায় ম্যাচ শেষে রাতভর পার্টি। কিন্তু কাতারে তা নিষিদ্ধ। সমর্থকদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের কোনও আশা যেন না রাখা হয় এবারের বিশ্বকাপে।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী জুটি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌনমিলন করা যাবে না। এই প্রতিযোগিতায় ‘এক রাতের যৌনমিলন’ থাকবে না। কোনও পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে প্রথম বার এমন ভাবে যৌনমিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সমর্থকদের সতর্ক থাকতে হবে। কাতারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বাদ দিয়ে যৌনমিলন এবং সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ।
সে দেশে এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ফিফা যদিও জানিয়েছে, সকলকে এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু নির্দিষ্ট পদবির মানুষকে কাতার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কাতার বিশ্বকাপে ফিফার মুখ্য নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু সর্বসমক্ষে ব্যক্তিগত ভালবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য। কাতার সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। কাতার ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা শুধু সেখানে প্রকাশ করা উচিত যে দেশে এটা মানা হয়।
সুত্রঃ নিউজ ১৮ বাংলা।
Leave a Reply