অনলাইন ডেস্ক।
ঘরের চালা, ছাদ বা দেয়াল চুইয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে মেশে ময়লা। এভাবে সংগ্রহ করা পানি ত্বক ও চুলে সরাসরি ব্যবহার একেবারেই নিষেধ। সবুজে ঘেরা জায়গাতেই কেবল নির্মল ও পরিষ্কার পানি পাওয়া সম্ভব। শহুরে বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিকর অ্যাসিডের মাত্রা থাকে বেশি, যা ছেঁকে নিলেও যায় না। প্রচুর গাছ আছে ও দূষণ কম—এমন স্থানে একটি পাত্রে সরাসরি বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে। তবে পরিষ্কার এই পানিও পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য নয়। প্রথমে পানি ছেঁকে আলগা ময়লা ভিন্ন করতে হবে। পরে প্রাকৃতিক উপায়ে বালু ও পাথরের স্তরে রেখে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। বাজারে এমন কিছু ফিল্টার রয়েছে, যা বালু, পাথরসহ আরও কয়েক স্তরে পানি পরিষ্কার করে। তবে বর্ষার প্রথম কয়েক দিনের পানি সংগ্রহ করা যাবে না। বর্ষা ঋতুর শেষ ভাগের পানি ব্যবহার করাই ভালো।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
বৃষ্টির পানির উপকারিতা এগুলো কীভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করে। বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি দিয়েছেন কিছু টিপস।
সৌন্দর্যচর্চায় বর্ষার পানি
চুলে ব্যবহার
বৃষ্টির বিশুদ্ধ পানি চুলের রুক্ষতা ও খুশকি কমাতে দারুণ কাজ করে। ফিল্টার করা বৃষ্টির পানিতে কয়েকটি শুকনো আমলকী ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। এই পানি দিয়ে শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। বৃষ্টির পানিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ত্বকের যত্নে
ব্যবহারযোগ্য বৃষ্টির পানি ত্বকের র্যাশ, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমে হওয়া ঘামাচি কমাতে বহু আগে থেকেই বৃষ্টির পানি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বৃষ্টির পানিতে থাকে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে।
ত্বকের জন্য ছেঁকে পরিষ্কার করা পানিতে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চামচ গোলাপজল ও আধা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহারে উজ্জ্বলতা বাড়ে। তবে প্যাকটি পুরোটাই একবারে ব্যবহার করতে হবে। এই ফেসপ্যাক রেখে ব্যবহার করা যাবে না।
সৌন্দর্যচর্চায় বর্ষার পানি
বডি ও ফেস মিস্ট
প্রাকৃতিক মিস্ট তৈরি করতে বৃষ্টির পানি ছেঁকে বরফ করতে হবে। পরে বরফ গলিয়ে পানি থেকে বের হওয়া বাড়তি আয়রন ছেঁকে এর মধ্যে অল্প পরিমাণ গোলাপ ফুল ও কয়েক ফোঁটা পছন্দের সুগন্ধি দিয়ে একেবারেই প্রাকৃতিক মিস্ট তৈরি করা যায়।
(সংগ্রহকৃত)
Leave a Reply