ক্রিড়া ডেস্ক।।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬ ও দ্বিতীয়টিতে জয় পেয়েছিল ৯ উইকেটে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারলেও ক্যারিবিয়দের ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।
এদিকে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট উইকেট হারিয়ে ১৭৮ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিমরা।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৯ বল খেলে ৮ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এদিকে ৮ বলে ৪ রান করা শামারাহ ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
দলের হয়ে কিছুটা হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও কেসি কার্টি। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দুজন গড়েন ৬৭ রান। তবে ইনিংসের ২৭তম ওভারে নাসুম আহমেদের বল খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন কার্টি। কার্টির ৬৬ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস শেষ হয় হতাশায়।
এরপর কিছুটা সময় মাঠে রাজত্ব করেছিলেন পুরান। একের পর এক বড় সর্টস খেলে বাংলাদেশকে কিছুটা বিপদেই ফেলেছিলেন তিনি। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধনে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আলজেরি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১৩ বল খেলে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শান্তর বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু গুদাকেশ মোতির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে মারেন তামিম। ৫২ বলে ৩৪ রান করা ব্যাটারের ক্যাচ নেন আকিল হোসেন। ভেঙে যায় লিটনের সঙ্গে তার ৫০ রানের জুটি।
তামিম আউট হলেও লিটন খেলে যাচ্ছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে সে ছন্দে থাকতে পারলেন না তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ বলে ৫০ রান করে গুদাকেশ মোতির বলে আউট হন তিনি।
এরপর ধীরগতির এক ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল না খুব একটা। বেশির ভাগ বলেই রান নিতে ব্যর্থ হন রিয়াদ। ৪২.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৬৫ বলে ৫০ রান করে নিকোলাস পুরানের বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। মিরাজের ৩৫ বলে ১৬ রানের ইনিংস ও সোহানের ৩৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে এক জয় নিয়ে সিরিজের সমাপ্তি টানে বাংলাদেশ।
Leave a Reply