কুষ্টিয়া সংবাদদাতা।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অস্ত্রসহ আটক ছাত্রলীগ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া এ নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগ গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ছাত্রের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উৎঘাটনপূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খানকে সদস্য সচিব ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন থেকে তাঁকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। এর আগে বিকেলে তিনি তাঁর সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রসহ ক্যাম্পাসে মহড়া দেন এবং ইবি সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম সেলিম ও সাংবাদিকদের অস্ত্র নিয়ে খুঁজে বেড়ান।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রেস কর্নারে এসে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তাঁরা। তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশকে খবর দেওয়া হলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় তাঁর বাকি তিনজন সঙ্গী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জানা মাত্রই তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলার কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় এই কাব্য। ড্রাইভারকে ছুরি দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ড্রাইভার ও তাঁর সহকারীকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেন তাঁরা।
Leave a Reply