আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুচিত্রা রায়,স্টাফ রিপোর্টার:

এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন সাভার- আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন শ্রেণীর সংবাদ কর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, আশুলিয়া রিপোর্টর্স ক্লাবের সভাপতি ও এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাহ্ আলম,সাধারণ সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিকী মানু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নয়া শতাব্দী’র আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।

এসময় মূলধারার সাংবাদিক, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন,আসুন আমরা সবাই যারযার অবস্থান থেকে অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। এই অপসাংবাদিকদের কারনেই আজ প্রকৃত সংবাদ কর্মীরা সমাজে হেয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন অপরাধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত কিছু লোক ইদানিং নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এঁদের প্রতিহত না করতে পারলে আগামীতে শিক্ষিত এবং ভালো ছেলে মেয়েরা সাংবাদিকতা পেশায় আসবেনা।পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে সাংবাদিকতা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হবে।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, লজ্জার কথা, পতিতা ব্যবসায়ীও এখন সাংবাদিক! এর আগে এই পতিতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নিউজ করায় তারই পালিত নারী দিয়ে সাংবাদিক শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাই। পাশাপাশি আদালতকে ব্যবহার করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া ও এই মামলার মূল হোতাসহ পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।

শাহ্ আলম বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামী হল কামালের বিরুদ্ধে সিনেমা হলে পতিতাবৃত্তি,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের ধারাবাহিক নিউজ করায় তার পালিত পতিতা দিয়ে মানিকগঞ্জ আদালতে আমার নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। সেই নারী মামলায় দাবি করেছে সে আমার স্ত্রী! এই হল কামাল চক্রের বিরুদ্ধে নিউজ করলেই এমন সব ভুয়া মামলা দিয়ে মানুষ কে হয়রানি করে। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।

উল্লেখ্য, গত মাসের ৫তারিখে বেবী আক্তার নামের এক নারী স্ত্রী দাবি করে মানিকগঞ্জ আদালতে শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান আদালত। পরে ৭ দিন কারাভোগের পর জামিন মেলে তার। অনুসন্ধানে দেখা গেছে কথিত এই নারী মামলা করতে যে কাবিননামা, জন্মসনদ আদালতে দিয়েছেন সবই ভুয়া। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও কাজী উল্লেখিত কাগজপত্র ভুয়া প্রমান করে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :