অনলাইন ডেস্ক।।
ইউটিউবার অ্যানি অরুণ টুইটারে পুরো বিষয়টা শেয়ার করেন। তাতে মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পর চন্ডাপ্পা ও শোভা নামে দুই মৃত শিশুর দেহাবশেষ নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে।
কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার প্রত্যন্ত এলাকা এক ঐতিহ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার দু’টি শিশুর মরণোত্তর বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, তাদের মা-বাবারা আত্মার শান্তি কামনায় এমনটা করেছেন। ‘প্রেথা কল্যাণম’, বা ‘মৃতদের বিয়ে’, বলা হয় একে। এটি কর্ণাটক এবং কেরলের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের রীতি। হাতে গোনা কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেঁচে আছে।
And finally bride and groom take their place. Though they are dead, dont think that atmosphere will be like the funeral!! Its not. Its as jovial as any other marriage. Everyone cracking jokes and keep the mood high. Its a celebration of marriage. pic.twitter.com/MoUYIv2gnl
— AnnyArun (@anny_arun) July 28, 2022
ইউটিউবার অ্যানি অরুণ টুইটারে পুরো বিষয়টা শেয়ার করেন। তাতে মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পর চন্ডাপ্পা ও শোভা নামে দুই মৃত শিশুর দেহাবশেষ নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে।
ওই ইউটিউবার ব্যাখ্যা করেন, যাঁরা এটা আগে শোনেননি, তাঁদের অবাক লাগতে পারে। কিন্তু এটা এই সম্প্রদায়ের একটি রীতি। যে শিশুরা ১৮ বছরের কম বয়সী অবস্থায়, বিয়ের আগেই প্রাণ হারায়, তাদের নিয়েই এমনটা করা হয়। তাদের মৃত্যুর কয়েক বছর পরে একই ধরনের মৃত্যু হয়েছে, এমন শিশুর সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কন্নড়ের একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন, লোকবিশ্বাস, মৃত শিশুদের আত্মা পৃথিবীতে বিচরণ করে। তারা কখনই ‘মোক্ষ’ পায় না। এর কারণ হল, ‘বিয়ে ছাড়া কোনও ব্যক্তির জীবন অসম্পূর্ণ। ফলে অতৃপ্ত আত্মার থেকে তার পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই বিশ্বাস থেকেই এই রীতি।
বর ও কনেকে বিয়ের পোশাক ‘পরানো’ হয়। আত্মীয়রা সাতপাক থেকে শুরু করে মুহূর্তম, কন্যাদান এবং মঙ্গলসূত্র বাঁধার মতো সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানের পালন করেন।
শিশু এবং অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্কদের এই বিয়ের সাক্ষী হওয়ার অনুমতি নেই।
Leave a Reply