ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
অবৈধ উপায়ে চেয়ার দখল আর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার খেসারত দিতে হচ্ছে ঝিনাইদহের সাধারণ মানুষকে। একে একে সব প্রতিষ্ঠানে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিচ্ছে। জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসক! হয়রে ঝিনাইদহের নেতৃত্ব আর আমাদের ফাটা কপাল। লেখার সময় অনেকের নামের আগে কত সব বিশেষন জুড়ে দিয়ে “ছেলের থেকে গু” ভারি করা হয়ে থাকে। কেউ সাজেন ‘উন্নয়নের কারিগর’, ‘সফল’ আবার কেউ ‘রুপকার’। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ঝিনাইদহের মানুষ কি ধরণের সেবা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন তার ক্ষোভ উগরে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্ষমতা ধরে রাখার ফন্দিফিকির আর মামলা মোকদ্দমা দিয়ে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক ধ্বংসের দার প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মামলার কারণে ঝিনাইদহ পৌরসভার আধুনিক মার্কেটের নির্মান কাজ বহু আগেই বন্ধ। একই কারণে ঝুলে গেছে পৌরসভার নির্বাচন। কবে হবে তার ঠিক নেই। পৌরবাসি রাস্তা, ড্রেন ও ময়লা আবর্জনা নিয়ে মহাবিপদে আছেন। একটু পানি হলেই সবখানে সাঁতার পানি। ঘন্টার পর ঘন্টা পাড়ায় পাড়ায় জলাবদ্ধতা। পৌরসভার এই নাজুক খবরের মধ্যে এবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ জারি করেছে বানিজ্য মন্ত্রনালয়। আজ রোববার (৩১ জুলাই) বানিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান তার দপ্তরের ২১৩ নং স্মারকে এই আদেশ জারি করেন। চিঠিতে ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠ নির্বাচন করে মন্ত্রনালয়কে জানাতে বলেছে। এর আগে ক্রিড়া সংস্থা, বাস মিনিবাস মালিক সমিতি, শিল্পকলা একাডেমিসহ একাধিক প্রতেষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ বা অনিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ চলছে। যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে তা জনসম্পৃক্ত। জনপ্রতিনিধি ছাড়া এ সব প্রতিষ্ঠান অচল। সাধারণ মানুষ আমলাদের চেয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাদের দাবী পেশ করতে অভ্যস্ত। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসক নিয়োগের এই দায় কার? কেন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ঘন ঘন প্রশাসক নিয়োগ হবে ? কেন সঠিক সময়ে নির্বাচন দেওয়া হয়নি ? চেয়ারে চেয়ারে যখন এতই মধু জড়িয়ে আছে তখন কেন জনকল্যানে নিবেদিত হয়নি আমাদের কর্মকান্ড!! ধিক এই ক্ষমতা! ধিক এই মানসিকতা!
Leave a Reply