আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কোটচাঁদপুরে পাওনা জমির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা।।

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চুড়ান্ত ডিক্রি উপেক্ষা করে জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। রবিবার ১২ টার দিকে কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার গাবতলা পাড়ায় নালিশি জমিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়া জমির মালিক আব্দুল খালেক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা মৃতঃ আবুল হোসেন ওয়ারেশ সূত্রে কোটচাঁদপুর ৪৬ নং মৌজার ১৪০১ ও ২১৩০ খতিয়ানের ৭টি দাগ থেকে ৭৮শতক জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিবাদী জামেলা খাতুন ও তার ওয়ারেশগণ আমার পিতাকে জোর পূর্বক জমির দখলে নিতে দেয়নি। সে কারণে আমার পিতা ১৯৮৯ সালের ৫ই মার্চ দেওয়ানি কার্যবিধি মোতাবেক ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭১। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আবুল হোসেনের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। বিবাদী জামেলা খাতুন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। মামলা পরিচালনা ক্ষেত্রে পিতার ত্রুটি থাকার কারণে আপিলের প্রকৃত সুট ডিসমিস হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। যার সিভিল রিভিউশন নং ৪০৫। তারিখ ১৫-০১-১৯৯৭। মহামান্য হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী আবুল হোসেনের পক্ষে রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে জামিলা মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন। আপিল নং ৭১/২০০৪। মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে নথি তলব ও জাস্টিফাই করে আবুল হোসেন এর পক্ষে রায় দেন। এ রায়ও জামিলা খাতুনের মনপুত না হওয়ায় পুনরায় শুনানির জন্য মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউ পিটিশন করেন। পিটিশন নং১০৫/২১৪। অতঃপর মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করেন। পিতার অবর্তমানে চুড়ান্ত ডিক্রি পেতে ওয়ারেশগণ ঝিনাইদহ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেটকে কমিশন নিয়োগ করেন। কমিশন উভয় পক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে নালিশি দাগ খতিয়ানের জরিপ পূর্বক ফিল্ড বুক ও স্কেস ম্যাপ চুড়ান্ত করে জমির অংশ বন্টন করে দেন। এতো কিছুর পরও দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ এর পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষ। দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনকারী এ পরিবারটি দারুন নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন কাটাছেন বলে দাবি করেছেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এসময় আব্দুল খালেকের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস, আজিজুল হক, দাউদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও শরিক আব্দুল মোতালেবসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :