আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মজুরি নিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে তামাশা বন্ধ করুণ : বাংলাদেশ ন্যাপ

মজুরি নিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে তামাশা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ঔপনিবেশিক যুগ থেকে চা শ্রমিকরা বংশ পরম্পরায় এখানে কাজ করেন। যারা চা শিল্পের মালিক তারা সেই মধ্যযুগীয় মনোভাব পোষণ করেন এখনও। ১২০ টাকা থেকে ১৪৫টাকা মজুরি, এটি একরকম স্লেভারি (দাসত্ব)। অথচ এই চা শিল্পে আমরা পৃথিবীতে দশম স্থানে আছি।

রবিবার (২১ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, একজন চা শ্রমিক দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান। এখন এটা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার কথা বলা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মানবিক নয়। তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।’

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে চার শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরী বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের ছুটি বৈষম্য দূর করা, রেশনের মান ও পরিমাণ বাড়ানো, প্রতিটি বাগানে মানসম্মত চিকিৎসা কেন্দ্র, পর্যাপ্ত খাবার পানি ও শৌচাগার স্থাপন করতে হবে।

তারা বলেন, চা শ্রমিকের সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বাগানে প্রাথমিক স্কুল ও প্রত্যেক ভ্যালিতে উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনেরও দাবি জানানো হয়।চা শ্রমিকের শিক্ষিত সব সন্তানের চাকরির নিশ্চয়তা এবং সব জাতি-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটনোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকে চা শ্রমিকদের জিম্মি করে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়ের দেশ বাংলাদেশ। অথচ সেই দেশের চা শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। চা শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যে কোন মূল্যে সরকারের উচিত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া।

তারা বলেন, চা শ্রমিকদের শ্রমটা শুষে নিয়ে মালিক-রাষ্ট্র মুনাফার হিসাব কষছে। কিন্তু শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। বাংলাদেশে এখন সর্বনিম্ন মজুরি পান চা শ্রমিকরা। ফলে চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে পরিস্থিতি, তাতে একজন শ্রমিকের ১২০ টাকা বা ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি পরিহাস মাত্র। এই টাকা দিয়ে জীবনধারণ একেবারে অসম্ভব এবং কল্পনাও করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :