আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অভিজাত আবাসন থেকে তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ডিভোর্সের জেরে আত্মঘাতী?

দৈনিক পদ্মা সংবাদ নিউজ ডেস্ক।

কলকাতার অভিজাত বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হল তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ।
টালিগঞ্জ করুণাময়ীর কাছে ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের তিন নম্বর টাওয়ারের ১৪ তলা থেকে এই দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন দেবিকা।
কলকাতার অভিজাত বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হল তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। রবিবার টালিগঞ্জ করুণাময়ীর কাছে ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের তিন নম্বর টাওয়ারের ১৪ তলা থেকে এই দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নামে দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। ৩৩ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক আলিপুরের একটি বেসরকারি মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। ফলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন দেবিকা। যদিও ঠিক কী কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত, তা খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

বিবাহবিচ্ছেদ থেকে মানসিক অবসাদ? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবিকা চট্টোপাধ্যায়ের সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই স্বামীর ঘর ছেড়ে মা-বাবার সঙ্গে ডায়মন্ড সিটি সাউথে এসে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। আবাসনের পড়শিদের সঙ্গে তেমন স্বভাব ছিল না বলেই সূত্র মারফত খবর। ডিভোর্সের পর থেকেই দেবিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই অবসাদের জেরেই কি এই চরম পদক্ষেপ নেন তিনি? এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান হরিদেবপুর থানার পুলিশের। ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিলাসবহুল ওই আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দা, সিকিউরিটি গার্ডকেও প্রশ্ন করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা দেবিকার প্রাক্তন স্বামীকেও। এছাড়াও তাঁর হাসপাতালের স্টাফেদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই মেয়ে ঘর থেকে একদম বেরচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন দেবিকার বাবা-মা। সারাদিন কোনও সাড়াশব্দও মেলেনি। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজায় নক করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় শেষে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপরই পড়শিদের সহায়তায় দেবিকার ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় সিলিং থেকে ঝুলছে দেবিকার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এই তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছিল হরিদেবপুর থানার অন্তগর্ত এই অভিজাত আবাসন। সৌজন্যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনেই একটি ফ্ল্যাট ছিল তাঁর নামে। যেখানে থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা এবং সোনা উদ্ধার হয়। বর্তমানে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল খাটছেন অর্পিতা।

সুত্রঃ এই সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :