আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমছে না চালের দাম, আটা ৫০ চিনি ৯০

কমছে না চালের দাম, আটা ৫০ চিনি ৯০যশোরের বাজারে কমেনি চালের দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলা কাঁচামরিচের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে। কমেছে ডিমের দামও। বেড়েছে মসলা, আটা ও বুটের ডালের দাম।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে গত দু’সপ্তাহ ধরে অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যর বাজার। সেই অবস্থা কাটতে শুরু করলেও একসাথে বেড়ে যাওয়া সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম এখনো কমেনি। নিত্যপণ্যের দাম হাতের নাগালে আসার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল (মোটা) বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। আঠাশ ও কাজললতা বিক্রি হয় ৫৮ থেকে ৬২ টাকায়। মিনিকেট ৬২ থেকে ৭২, বাসমতি ৭৬ থেকে ৮৪ এবং নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়। দোকানি মেহেদী হাসান বলেন, আপাতত চালের দাম কমবে না। জ্বালানি তেলের দাম কমলে চালের দাম খানিকটা কমতে পারে। আটার দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। খোলা আটা ৫০ টাকা। গত সপ্তাহের শুরুতে চিনি ৮২ থেকে ৮৪ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজিতে। কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ছোলার ডাল ৮০ টাকা। কয়েক সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের সাথে সাথে বেড়ে যায় শুকনো মরিচের দামও। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজিতে। খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা কেজি। বোতলজাত সয়াবিন ১৮৫ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে দামে রেকর্ড করা ডিম এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা হালিতে। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা হালি। এক হালি হাঁসের ডিম ৫৬ টাকা। ডিম ব্যবসায়ী মাহবুুব বলেন, জ্বালানি তেল ও পোল্ট্রি ফিডের দাম কমলে ডিমের দাম কমবে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলা কাঁচামরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কমেনি অন্যান্য সবজির দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। পটল ২০ থেকে ৩০, চিচিঙ্গা ৪৫, বরবটি ৫০, উচ্ছে ৮০, ঢেঁড়স, কচুর মুখি, মিষ্টি কুমড়া ও শসা ৪০, কচুরলতি ৫০, বেগুন ৭০-৮০, কাঁচকলা ৩০, পেঁপে ২৫, লাউ ৩০ থেকে ৪০, ফুলকপি ১০০ ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার যশোরের বড়বাজারে জিরা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত সপ্তাহে দারুচিনি ৪৩০টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহে লবঙ্গ ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। রসুন ৭০ থেকে ১৫০। বেড়েছে আদার দাম। গত সপ্তাহে ১৭০টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
সরবরাহ কম থাকায় যশোরের বাজারে এখনো কমেনি ইলিশ মাছের দাম। শুক্রবার ছোট ইলিশ বিক্রি হয় ৫০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায়। মাঝারি ইলিশ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। বড় ইলিশ বিক্রি হয় ১১০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত। মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে। সোনালি ২৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৪৫০। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৮৫০ টাকা।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :