অনলাইন ডেস্ক।
মস্তিষ্কের অ্যাট্রোফি রোগে আক্রান্ত ৬ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি শিশু অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মারা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজা উপত্যকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাদের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এতে রবিবার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে ৬ বছর বয়সি শিশু ফারুক আবু আবুল-নাজা।
গাজার মানবাধিকার সংগঠন আল-মিজান সেন্টার বলেছে, জেরুজালেম আল-কুদস শহরের হাদাসা এইন কেরেম হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসা হওয়ার কথা ছিল।
কারণ, গাজার কোনো হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নেই। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি শিশুটিকে গাজা থেকে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে যেতে দেয়নি। আল-মিজান সেন্টার বলছে, কাজেই আবুল-নাজার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে তেল আবিব দায়ী।
হাদাসা হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসার তারিখ ছিল গত জানুয়ারি মাসে।
এজন্য সেখানে যেতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদন পর্যালোচনা করতে মাসের পর মাস সময় নেয় তেল আবিব। চলতি আগস্ট মাসে তার আরেকবার ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার আবেদনে সাড়া দেয়নি দখলদার ইসরায়েল।
আল-মিজান সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় চলতি বছরের গত আট মাসে এই উপত্যকার চার রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু। উল্লেখ্য, দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত গাজা উপত্যকার ওপর ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। প্রতিটি যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে এবং উপত্যকার মানুষ আগের চেয়ে আরো বেশি হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে।
Leave a Reply