মোঃ শহিদুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা।
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলাধীন বড় বামনদহ গ্রামে নিঃসন্তান বিধবা শিল্পী (৩৯)
বসবাস করেন !স্বামী দিন মজুর লিটন হোসেন ষ্টোকজনিত কারনে মারা গেছেন গত ১ বছর আগে। সেই থেকে আধা বুদ্ধির শিল্পীর জিবনে নেমে আসে আমাবর্ষা ঘোর অন্ধকার, খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করেন। ক্ষুদার জ্বালাই শুরু করেন কাঁথা সেলাই এর কাজ। একটি নকশি কাঁথা সেলাই বাবদ পান ৭/৮ শত টাকা, সময় লাগে ২/৩ সপ্তাহ। আর এ ভাবেই দিন যাচ্ছে হতভাগা শিল্পীর মত সহজ সরল দুঃখি মানুষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টিন সেট এর এক খোপ ঘর আছে কিন্তু টিনে হাজারও ছিদ্র। শিল্পী জানান বৃষ্টি হলে বিছানা গুছিয়ে বালতি পেতে পানি সরানোর চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বুদ্ধি হালকা শিল্পী নিজেও অসুস্থ। ভারী কোন কাজ তিনি করতে পারেন না। ২/৩ দিন না খেয়ে থাকলেও কাউকে বুঝতে দেন না। শিল্পীর আকুতি যদি কেউ একটি সেলাই মেশিন কিনে দিত তাহলে দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করে নিতেন। কাথা সেলাই করা খুবই কষ্ট এবং চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সোহেল আরমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি এ মহিলার দুর দর্শার কথা শুনেছি, তাকে বিধবা কার্ডের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
বিধবা মহিলাটির পাশে দাঁড়িয়ে সরকারী আর্থিক সাহায্যের জন্য কোটচাঁদপুর নির্বাহী অফিসার এবং সুধি মহলের দৃষ্টি দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
Leave a Reply