রাশিদা- য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক পদ্মা সংবাদ।
গ্রীষ্মের তাপদহ ভাদ্রের ব্যবসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ;
ভোরের শান্ত হাওয়ায় মন উদ্বেলিত!
শুষ্ক প্রকৃতির প্রভাব পড়ে গ্রাম গঞ্জ নাগরিক জীবনে,
যৌলুসহীণ সভ্যতা শহরের বড় বড় ইমারত ইট
পাথর কংক্রিটের দেয়ালে,
মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সম্প্রদায় কোণঠাসা- অর্থ ছাড়া
জীবন অর্থহীন;
বদ্ধ ঘরে বৈচিত্রহীন একঘেয়ে সময় তবুও কেটে যায় যাচ্ছে নাগরিক জীবন!
শহুরে আকাশের কোণে মেঘ জমে বৃষ্টি ঝরে সূর্য ওঠে সূর্য ডোবে পার্থক্য নেই তেমন কোন,
এক জীবন একই সমাজ,এক দেশ একটাই পরিচয় মানুষ।
নাগরিক জীবন অশান্ত এখন ধুলাবালি ভরা রাস্তা
যানবহনে ঠাসা যানজটে জনজীবন বিকল…
ঘর্মাক্ত কর্ম ক্লান্ত শরীর, কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ;
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি- ফুলের ক্ষেপে অসাধু ব্যবসায়ী, নাগরিক জীবন নাকাল!
বহু প্রতীক্ষার পর একটু শান্তির ছোঁয়া বয়ে আনে-
এক পশলা বৃষ্টি, কখনো মুষলধারে নাগরিক জীবনে!
কল্পনার রঙে ছবি আঁকে বৈচিত্রময় গ্রামীণ জীবন;
দূর থেকে ভেসে আসে ভেজা মাটির গন্ধ,
মায়া-ময় শান্ত স্নিগ্ধ উষ্ণ প্রকৃতি সবুজ মাঠ দূর দিগন্ত,
খোলা প্রান্তর নীল আকাশ…
কাছ থেকে কাছে টানে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে,
মানুষ, ফুল- পাখি, নদী- প্রকৃতি ও পরিবেশ মিলে মিশে একাকার গ্রামীণ জীবনে!
স্বার্থ ছাড়া হয় না সম্পর্ক আসল চেহারা থাকে আড়ালে,
কৃত্রিম হাসি সাজিয়ে মুখে আন্তরিকতার ছোঁয়া নেই;
অর্থ পিপাসু ভোগ বিলাসী নষ্টের দাপটে শান্তি হয়েছে বিলুপ্ত…
কালের গর্ভে নিমজ্জিত নাগরিক জীবন!!
২০২০
(অস্থির সময়ে ক্লান্ত পাখিরা)
Leave a Reply