কখনো সাংবাদিক, কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে যশোরে দাপিয়ে বেড়ানো চিহ্নিত চাঁদাবাজ আবিদ হাসান ওরফে সৈয়দ আল-আমিনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বারান্দি মাঠপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আবিদ হাসান ওই এলাকার দেলোয়ার ড্রাইভারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আ.ফ.ম মনিরুজ্জামান।
এর আগে আবিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন জেলরোড এলাকার সিএমসি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিক ফারুক হোসেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, আবিদসহ একটি চক্র ফারুকের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। ওই প্রতিষ্ঠান চালাতে হলে আবিদকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে দিতে হবে। সর্বশেষ, গত ২২ সেপ্টেম্বর আবিদসহ আরও অন্তত চার-পাঁচজন তার প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় খুনগুমসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। সন্ধ্যা সাতটায় গিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বাধ্য হয়ে তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ.ফ.ম মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের পর তিনি তদন্ত করেন। সিসিটিভি ফুটেজসহ নানাভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। পরে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলাও রেকর্ড করা হয়েছে। এঘটনার সাথে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয় উঠে এসেছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য,আবিদ যশোরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছে। তার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অনেকেই। আবিরসহ তার চক্রের অন্য সদস্যের আটকের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।।
Leave a Reply