আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ ফার্মেসি বা অন্য কোনো অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান এন্টিবায়োটিক বিক্রি করতে পারবে না। যদি কোনো ফার্মেসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং এ ধরা পড়লে সেই ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এন্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে বিশ্বে বছরে ১৫ লাখের অধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এন্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে এখন মৃত্যু হার বাড়ছে। দেশে যত্রতত্র ইচ্ছেমতো এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি হয়না। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই, সেখানে ইচ্ছেমাফিক এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। মাছ, মাংসের মধ্যেও এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ইচ্ছেমতো ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে আইনেরও অনেকটা ঘাটতি রয়েছে। এই সুযোগটিই দুর্বৃত্তরা কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে। তবে, আশার কথা হচ্ছে, ‘ওষুধ আইন-২০২২’ করার কাজ চলমান রয়েছে। একনেকেও পাশ হয়ে গেছে আইনটি। এখন সংসদে পাশ হলেই এই আইনের প্রয়োগ ঘটানো হবে এবং অপচিকিৎসার সাথে জড়িত ও ভেজাল মেশানোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাবে। দেশে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার এখনই রোধ করতে হবে। নইলে এটিই হবে আমাদের জন্য আরেকটি নিরব পেন্ডামিক।
এসময় করোনার টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত চার দিনে মানুষ অনেক টিকা গ্রহণ করেছে। এতে আমরা এখন লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৮ ভাগই পুরণ করতে সক্ষম হয়েছি। যারা এখনো ভ্যাক্সিন নেয়নি তাদের জন্য আগামী তিন দিন ভ্যাক্সিন দেয়া হবে। এরপর তারা আর ভ্যাক্সিন নাও পেতে পারেন।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :