আজ ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেঘের খেয়া

ফরেস্ট একাডেমি, চট্টগ্রাম এর সৌন্দর্যে যুক্ত হলো নতুন পালক। দুর পাহাড়ের নৈসর্গিকতায় মেঘ ছুয়ে দিতে নতুন নির্মান করা হলো সংযোগ সেতু- “মেঘের খেয়া”।

সুউচ্চ পাহাড়ের বুক চিরে নির্মিত নয়নাভিরাম পথের প্রান্তে এসে হঠাৎ পতনের সীমানা পেরিয়ে নিচে নামতে হয় এর ডরমিটরিতে যাতায়াতের সিঁড়ি ভেঙে। উত্থান-পতনের যোগফল প্রায় আটতলা ভবনের সমান। কখনো ক্লান্তি এসে ভর করে আসা-যাওয়ার পথে। বারবার যাতায়াতের সিঁড়ি ভেঙে সবার সমর্থে কুলায় না সবসময়। বয়সী মানুষ, হৃদয় ঘটিত জটিলতায় ভুক্তভোগী ও হাটুব্যথার কারনে অনেকের জন্য তা অসম্ভবের হয়ে যায় কখনো কখনো।

পাহাড়ের নান্দনিকতা মানেই বন বনানী ও ঘন বনের সন্নিবিষ্ট গাছপালা। নানা আকার প্রকৃতির উদ্ভিদের অবন্যস্ত আত্মীয়তায় সৃষ্ট নির্জনতার মোহাচ্ছন্নতা মানুষ মাত্রেই টানে অবলীলায়, অনুক্ষণ। সাথে আছে টুনটুনি, দোয়েল, কাঠঠোকরা, কোকিল, কানাকুয়া, প্যাঁচা, ঘুঘুদের নিত্য কলতান ও সদর্প উপস্থিতি কাঠবিড়ালি, গুইসাপ সহ নানান প্রাণীদের। প্রাণবৈচিত্র্যের এ মহাসমাবেশ যেন হাত বাড়িয়ে ডাকে উন্নত মস্তকের গর্জন, তেলসুর, কাঞ্জল-ভাদীদের সারিতে হাজির হতে।

একদিকে সুরম্য অট্টালিকার বসতি, সম্মুখে নিবিষ্ট পাহাড়ের নৈসর্গিকতা, জোছনা রাতের অপারর্থিব আকর্ষন, ঝিঁঝিপোকাদের কর্কশ ঝংকার এবং অপরদিকে দুপাশে ঘন বনের দন্ডায়মান বৃক্ষদের নিবিড় সমাবেশ। প্রকৃতির এ মনোঁরমতাকে হৃদয়ে উপভোগ করতে, নিশ্বাসের খুব কাছে এনে বুকে টানতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে *”মেঘের খেয়া”*।

সবুজ বন্য প্রকৃতি ও পাহাড়ের নিবিড়তার বুক চিরে দন্ডায়মান সুউচ্চ বৃক্ষরাজীর সুবিন্যাস্ত নৈসর্গিকতায় দাড়িয়ে মেঘ ছোঁয়ার এ পরিসর জুড়েই বিরাজমান এক স্বর্গীয় প্রশান্তির শীতলতা।

আপনিও আমন্ত্রিত, স্বর্গ ছুয়ে দিতে মেঘের খেয়ায় ভেসে ভেসে।

লেখক :- ড. মোল্যা রেজাউল করিম
পরিচালক, ফরেস্ট একাডেমি, চট্রগ্রাম।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :