বরগুনার পাথরঘাটায় ৬ দিনে পৌনে এক লাখ কেজি মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে

Padma Sangbad

নদী-সাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ৩ থেকে ৮ নভেম্বর, বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার কেজি মাছ কেনা-বেচা হয়েছে। রাজস্বও আদায় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-বিএফডিসি’র বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রথম চারদিনে শুধুমাত্র পাথরঘাটা বিএফডিসিতেই মোট ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়। তারমধ্যে ইলিশই বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৯ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৩৫ হাজার ৭১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য ছিলো ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। মাত্র চার দিনেই সরকারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আয় ছিলো। পরবর্তী দুই দিনে মাছের পরিমান ও রাজস্ব আয় আরও বেড়েছে।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে অন্যান্য মাছের তুলনায় কাংখিত ইলিশের পরিমান কম। তবে দাম ভালো পাচ্ছেন।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরি জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় বিভিন্ন ঘাটসহ পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছ বিক্রি বেড়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে প্রায় পৌনে এক লাখ (৭৫ হাজার) কেজি মাছ প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকায় বেচা-কেনা হয়েছে। রাজস্ব আয়ও হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। এটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল পেতে শুরু করেছেন জেলেরা। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০৫:৫৫:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

বরগুনার পাথরঘাটায় ৬ দিনে পৌনে এক লাখ কেজি মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে

Update Time : ০৫:৫৫:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নদী-সাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ৩ থেকে ৮ নভেম্বর, বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার কেজি মাছ কেনা-বেচা হয়েছে। রাজস্বও আদায় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-বিএফডিসি’র বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রথম চারদিনে শুধুমাত্র পাথরঘাটা বিএফডিসিতেই মোট ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়। তারমধ্যে ইলিশই বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৯ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৩৫ হাজার ৭১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য ছিলো ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। মাত্র চার দিনেই সরকারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আয় ছিলো। পরবর্তী দুই দিনে মাছের পরিমান ও রাজস্ব আয় আরও বেড়েছে।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে অন্যান্য মাছের তুলনায় কাংখিত ইলিশের পরিমান কম। তবে দাম ভালো পাচ্ছেন।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরি জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় বিভিন্ন ঘাটসহ পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছ বিক্রি বেড়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে প্রায় পৌনে এক লাখ (৭৫ হাজার) কেজি মাছ প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকায় বেচা-কেনা হয়েছে। রাজস্ব আয়ও হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। এটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল পেতে শুরু করেছেন জেলেরা। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।