চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জয়া-জো বাইডেনের ৩ শাবক

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মানুষের পরিচর্যায় বড় হওয়া বাঘ জো বাইডেন ও নিজের জন্ম নেওয়া বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিয়েছে তিনটি শাবক।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে শাবক গুলো ছবি দিয়ে এমন তথ্য জানান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডাক্তার শাহাদাত হোসেন শুভ।
শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের শাবক তিনটির জন্ম হয়। শাবকগুলো বর্তমানে মায়ের সঙ্গে আছে। সপ্তাহখানেক পর এদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যাবে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা ১৭ টিতে দাঁড়িয়েছে বলে জানান ডাক্তার শাহাদাত হোসেন শুভ। শুভ আরও বলেন, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দ¤পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল হোয়াইট টাইগার অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটির নাম রাখা হয় শুভ্রা।
কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় জয়া। সেই জয়ার ঘরে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম নেয় তিন শাবক। প্রথমবার সন্তান জন্মদানের পর জয়া অসহিঞ্চু আচরণ শুরু করে। তাঁর অবহেলায় পরদিন দুটি শাবক মারা যায়।
মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা আরেকটির প্রাণ রক্ষায় নিজের হেফাজতে নেন বলে জানান চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শুভ। আর ওই শাবকটিই হচ্ছে জো বাইডেন। যাকে নিজের হাতে দুধ খাইয়ে, নিবিড় পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে তোলেন।
এক বছর লালন-পালন করার পর জো বাইডেনকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত অন্যান্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের (সামাজীকরণের) মাধ্যমে সদস্য হিসাবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া স¤পন্ন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত সে (জো বাইডেন) নিজের জন্ম নেওয়া জয়া ঘরে পরিবার তিন শাবকের জন্ম দিলো জো বাইডেন। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা, যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের।