আহসান মঞ্জিলে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

Padma Sangbad

আহসান মঞ্জিল, রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক স্থাপনা। ১৮০০ শতকের এই নান্দনিক স্থাপনাটি বর্তমানে ঢাকার অন্যতম জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। ঢাকার নবাবদের আবাসিক এ প্রাসাদ দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাচীন এই স্থাপনাটি দেখতে কেউ পরিবার নিয়ে এসেছেন, কেউ আবার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। আহসান মঞ্জিলে ঢোকার টিকিট কাটার লাইনে দীর্ঘ লাইন। কয়েকশ দর্শনার্থী মঞ্জিলে প্রবেশের অপেক্ষায় টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন টিকিটের জন্য। যারা টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করছেন, তারা মঞ্জিলের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখতে। নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। মঞ্জিলের ভেতরে ঘুরে এসে সিঁড়ির ওপর বসে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার পরিবার নিয়ে সবুজ ঘাসের ওপর বসে গল্প করছেন।

সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া ইমতিহান আহম্মেদ জানান, আজিমপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটতে হয়েছে। ভেতরে এসে পরিবেশটা ভালো লাগছে। মঞ্জিলের ভেতরে গিয়ে নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখব।

আহসান মঞ্জিলের কর্মচারী আফরোজ জানান, দর্শনার্থীদের অনেক চাপ। টিকিট কাটার লাইন অনেকদূর এগিয়েছে। ঈদের সময় এমন অবস্থায় হয়। সবাই যেন ভেতরে প্রবেশ করতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করবো। আজ দর্শনার্থীদের যে পরিমাণে ভিড় মনে হচ্ছে, সময় আরও বাড়াতে হবে।

ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট। এক নারী গেটের সামনে এসে বলছেন, যত লোক লাইনে আছে, আজ মনে হয় ভেতরে যেতে পারবো। একটা ছবি তুলে চলে যায়।

আহসান মঞ্জিলে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ ফ্রি ৪০ টাকা। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ১২ টাকা। সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের ৩০০ টাকা ও অন্যান্য বিদেশিদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। শনিবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১১:৫৮:১৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

আহসান মঞ্জিলে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

Update Time : ১১:৫৮:১৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

আহসান মঞ্জিল, রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক স্থাপনা। ১৮০০ শতকের এই নান্দনিক স্থাপনাটি বর্তমানে ঢাকার অন্যতম জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। ঢাকার নবাবদের আবাসিক এ প্রাসাদ দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাচীন এই স্থাপনাটি দেখতে কেউ পরিবার নিয়ে এসেছেন, কেউ আবার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। আহসান মঞ্জিলে ঢোকার টিকিট কাটার লাইনে দীর্ঘ লাইন। কয়েকশ দর্শনার্থী মঞ্জিলে প্রবেশের অপেক্ষায় টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন টিকিটের জন্য। যারা টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করছেন, তারা মঞ্জিলের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখতে। নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। মঞ্জিলের ভেতরে ঘুরে এসে সিঁড়ির ওপর বসে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার পরিবার নিয়ে সবুজ ঘাসের ওপর বসে গল্প করছেন।

সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া ইমতিহান আহম্মেদ জানান, আজিমপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটতে হয়েছে। ভেতরে এসে পরিবেশটা ভালো লাগছে। মঞ্জিলের ভেতরে গিয়ে নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখব।

আহসান মঞ্জিলের কর্মচারী আফরোজ জানান, দর্শনার্থীদের অনেক চাপ। টিকিট কাটার লাইন অনেকদূর এগিয়েছে। ঈদের সময় এমন অবস্থায় হয়। সবাই যেন ভেতরে প্রবেশ করতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করবো। আজ দর্শনার্থীদের যে পরিমাণে ভিড় মনে হচ্ছে, সময় আরও বাড়াতে হবে।

ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট। এক নারী গেটের সামনে এসে বলছেন, যত লোক লাইনে আছে, আজ মনে হয় ভেতরে যেতে পারবো। একটা ছবি তুলে চলে যায়।

আহসান মঞ্জিলে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ ফ্রি ৪০ টাকা। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ১২ টাকা। সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের ৩০০ টাকা ও অন্যান্য বিদেশিদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। শনিবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।