চুয়াডাঙ্গা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারশালার ছুটছে ক্রেতারা

Padma Sangbad

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি।।

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দশদিন। কুরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে কোটচাঁদপুরের কর্মকাররা, ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার কামারশালাগুলো।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।

কুরবানিকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে রক্তিম আভা ছড়িয়ে লোহায় পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতে আঘাতে রূপ নিচ্ছে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটিসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র।

অক্লান্ত পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটিতে পরিণত করতে এসব লৌহজাত বস্তুতে শান দিচ্ছেন কেউ। কেউ বা আবার সহকর্মীর কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

কর্মকারদের তৈরিকৃত এসব লৌহজাত সামগ্রী আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।

কোটচাঁদপুর ব্রিজঘাট মোড়ের বাসুদেব কর্মকার বলেন, কুরবানির আরো কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর ব্যবসা খারাপ হলেও এ বছর আগের তুলনায় বিক্রি অনেকটা ভালো হবে বলে আশা করছি।

কামারশালায় আসা ক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, কামারশালার জিনিসপত্রের দাম অন্যান্যা বছরের চেয়ে একটু বেশি। একটি চাপাতি ও একটি ছুরি ১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।

কুরবানিকে সামনে রেখে মানুষ আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় দাম তেমন বাড়েনি। ছুরির ধরণ বুঝে দামের পার্থক্য রয়েছে।।

আপডেট : ০৭:২৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারশালার ছুটছে ক্রেতারা

আপডেট : ০৭:২৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি।।

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দশদিন। কুরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে কোটচাঁদপুরের কর্মকাররা, ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার কামারশালাগুলো।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।

কুরবানিকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে রক্তিম আভা ছড়িয়ে লোহায় পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতে আঘাতে রূপ নিচ্ছে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটিসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র।

অক্লান্ত পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বটিতে পরিণত করতে এসব লৌহজাত বস্তুতে শান দিচ্ছেন কেউ। কেউ বা আবার সহকর্মীর কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

কর্মকারদের তৈরিকৃত এসব লৌহজাত সামগ্রী আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।

কোটচাঁদপুর ব্রিজঘাট মোড়ের বাসুদেব কর্মকার বলেন, কুরবানির আরো কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর ব্যবসা খারাপ হলেও এ বছর আগের তুলনায় বিক্রি অনেকটা ভালো হবে বলে আশা করছি।

কামারশালায় আসা ক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, কামারশালার জিনিসপত্রের দাম অন্যান্যা বছরের চেয়ে একটু বেশি। একটি চাপাতি ও একটি ছুরি ১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।

কুরবানিকে সামনে রেখে মানুষ আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় দাম তেমন বাড়েনি। ছুরির ধরণ বুঝে দামের পার্থক্য রয়েছে।।