নিজস্ব প্রতিবেদক ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতদসংক্রান্তে এক শ্রেণীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামাল উদ্দিন এবং স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি এইচ.এম. শফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার নিমিত্তে গমন করেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ ১০:৫০ ঘটিকার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন সি এন্ড বি পাড়া সাকিনস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন অঙ্কুর এগ্রো মেশিনারীজ এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইমদাদুল হক(৪৫), পিতা- মৃত কিয়ামত আলী, সাং- কুড়ুলগাছি (পশ্চিম পাড়া), থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর দখল হতে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। যাহা আসামীর বহনকৃত প্লাষ্টিকের বাজারে ব্যাগের ভিতর রক্ষিত ছিল। বর্ণিত অভিযান শেষে আভিযানিক দল ০১:৫০ ঘটিকার মেসার্স দর্শনা ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্র আকন্দবাড়ীয়া, চুয়াডাঙ্গা) এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আবুল কালাম (৪৯), পিতা-আব্দুল নতিব, সাং-রামনগর পশ্চিমপাড়া, থানা-দর্শনা ও জেলা- চুয়াডাঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর দখল হতে ০২ (দুই) কেজি গাঁজা, ০১ টি মোবাইল সেট, ০২ টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাজা আসামীর বহনকৃত প্লাষ্টিকের বাজারে ব্যাগের ভিতর রক্ষিত ছিল।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়।
Leave a Reply