চুয়াডাঙ্গা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন ঘিরে যা বললেন ড. কামাল

Padma Sangbad

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ, গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন।‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ ও কোটা আন্দোলনে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে, বিপুলসংখ্যক ছাত্র-সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার পরিপন্থি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘এ আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মনে রাখতে হবে, মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সব সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, এ অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। এছাড়াও গণগ্রেফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, সারা দেশের সব আটক ছাত্র-জনতার মুক্তির দাবি জানান। অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই সংবিধান প্রণেতা ।

এ ছাড়া হত্যা, নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

আপডেট : ১০:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

আন্দোলন ঘিরে যা বললেন ড. কামাল

আপডেট : ১০:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ, গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন।‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ ও কোটা আন্দোলনে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে, বিপুলসংখ্যক ছাত্র-সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার পরিপন্থি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘এ আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মনে রাখতে হবে, মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সব সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, এ অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। এছাড়াও গণগ্রেফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, সারা দেশের সব আটক ছাত্র-জনতার মুক্তির দাবি জানান। অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই সংবিধান প্রণেতা ।

এ ছাড়া হত্যা, নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।