ঢাকা সফরে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান চেয়ার রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে এরদোগান ঢাকা সফরের ব্যাপারে সম্মতি জানান। এ সময় তিনি নতুন সদস্য যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নির্যাতিত ও দুর্গত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।-খবর বাসসের
তিনি এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার অভিমত ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা বাণিজ্যিক পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরও বেশি প্রতিনিধিদল প্রেরণ এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামরিক খাতে চলমান সহযোগিতা শক্তিশালী বলে অভিহিত করেন তারা। আলোচনায় উভয়েই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরষ্কের রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান চেয়ার এরদোগান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি নতুন সদস্য রাষ্ট্র যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন। দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন।
যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্ক বাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ।
এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি প্রস্তাব দেন।
এরদোয়ান বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তুরস্কের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আরো সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মহামারি কোভিড-১৯ অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুরস্কের দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাংলাদেশে ভ্রমণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ উচ্চতর পর্যায়ে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে একমত হন। বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসওলু উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা সফরে আসছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান

Update Time : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

দৈনিক পদ্মা সংবাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান চেয়ার রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে এরদোগান ঢাকা সফরের ব্যাপারে সম্মতি জানান। এ সময় তিনি নতুন সদস্য যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নির্যাতিত ও দুর্গত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।-খবর বাসসের
তিনি এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার অভিমত ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা বাণিজ্যিক পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরও বেশি প্রতিনিধিদল প্রেরণ এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামরিক খাতে চলমান সহযোগিতা শক্তিশালী বলে অভিহিত করেন তারা। আলোচনায় উভয়েই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরষ্কের রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান চেয়ার এরদোগান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি নতুন সদস্য রাষ্ট্র যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন। দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন।
যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্ক বাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ।
এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি প্রস্তাব দেন।
এরদোয়ান বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তুরস্কের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আরো সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মহামারি কোভিড-১৯ অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুরস্কের দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাংলাদেশে ভ্রমণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ উচ্চতর পর্যায়ে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে একমত হন। বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসওলু উপস্থিত ছিলেন।