আজ ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনাভাইরাস সামনে শীত, প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শীতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে। আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিএবি নেতারা অনুদান দিতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই সুস্থ থাকেন এটাই আমরা চাই। দোয়া করেন দেশটা যাতে এই করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্তি পায়। সারাবিশ্বই যাতে মুক্তি পায়। মানুষের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে এই করোনাভাইরাসের কারণে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি কাউকে বাদ দিতে পারব না। সে জন্য হয়তো আমরা এটা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। সামনে শীত, আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে। তবুও আমাদের এখন থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।তিনি আরও বলেন, তবুও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। তার জন্য যা যা দরকার সেটা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি, এতে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই।
ব্যাংক সেক্টর নিয়ে বিএবি চেয়ারম্যানের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন- আমি সেটা দেখবো।
যদি সেখানে সমস্যা থাকে তবে সেখানে যাতে সমস্যা না হয় তা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে ব্যাংকটা যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেটে ব্যাংকটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরাই নিয়েছিলাম। আমরাই সব থেকে বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি। কারণ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যাতে ব্যাংকিং ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়, তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। এমনকি কৃষককে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা নিয়েছি।অর্থাৎ মানুষকে অভ্যস্ত করা ব্যাংকের মাধ্যমে যেন আর্থিক লেনদেন করতে পারে, সে পদক্ষেপও নিয়েছি। এতে ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংকের আইন যা কিছু আমরা করি আপনারা যখন আনেন যেটা যুক্তি সঙ্গত সেটা বিবেচনা করে দেখি।
বিএবিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটা যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে দৃষ্টি দেবেন। কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় মার্স করাতে হয়। সেটা বিবেচনা করে দেখতে হবে, কোনটা ঠিকমত চলছে বা কোনটা চালাতে পারছে কি না। সেগুলো বিবেচনা করেই সবকিছু করা হবে। অবিবেচনা করে কিছু করা হবে না, এটুকু ভরসা রাখবেন। আপনাদের এই অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে।তিনি অনুদান প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দোয়া করেন দেশটা যেন করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্তি পায়, পুরো বিশ্বই যেন মুক্তি পায়। মানুষের সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে। ‍তবুও বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য চালু রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি যা যা দরকার সেটা দিয়ে যাচ্ছি। আসলে জনগণের জন্য কাজ করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।কে কত অনুদান দিল: মোট ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হয় এদিন। তার মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) পক্ষ থেকে ১৬৪ কোটি টাকা, ফরেইন অফিসার্স স্পাউস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিবের স্ত্রী ফাহমিদা জেবিন দেন ১০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট ৫ লক্ষ টাকা, মিনিস্টার গ্রুপ ২৫ লক্ষ টাকা ও ১ লাখ সার্জিক্যাল মাক্স।খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০ লক্ষ টাকা, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লক্ষ টাকা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশে বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ৪০ লক্ষ টাকা, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল আলম ২৫ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড পরিচালক এস এম শফিকুল্লা খান ৫ লাখ টাকা, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আহমেদ ১০ লক্ষ টাকা, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মনজুর রহমান ৫ কোটি টাকা, এসবিএসসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসাইন ২৫ লাখ টাকা।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান ৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ ৫ কোটি টাকা,সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কামাল হোসেন ৫ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ৫ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারুক মহিউদ্দিন আহম্মেদ ২ কোটি টাকা।ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোল্লা ফজলে আকবর ২৫ লাখ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান বাজাল আহমেদ ৫ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলাম ৫ কোটি টাকা।
এছাড়া এবি ব্যাংক ৫ কোটি টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৫ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক ৫ সিটি ব্যাংক ১০ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৫ ডাচ বাংলা ব্যাংক ১০ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ১০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ১০ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৫ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, যমুনা ব্যাংক ৫ কোটি, মার্কেনটাইল ব্যাংক ৫ কোটি।মধুমতি ব্যাংক ২৫ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ২৫ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক ৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :