সংগ্রাম মিত্র ( কলকাতা , ভারত )
পশ্চিম বঙ্গ তথা ভারতের রাজ্য রাজনীতির এখন তুঙ্গে। সামনে একুশে নির্বাচন , সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন , নন্দীগ্রাম , গড়বেতা থেকে শুরু করে কেশপুর ৩৪ বছরের সি পি আই এম’ র রাজত্ব শেষপুরে পরিণত করে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল পশ্চিম বঙ্গে।
তার পর থেকে কত সিপিএম নেতা ঘর ছাড়া , কত পার্টি অফিস দখল , জরিমানা।
নারদা , সারদা কান্ড থেকে তোলাবাজি কোনটা বাদ দেয়নি তৃণমূল। আর তারই ফলে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই থেকে বেড়ে ১৬।
যা মমতা ব্যানার্জিকে প্রচন্ড ধাক্কা দেয়।
তৃনলমুলের রাজত্বে অধিকাংশ পুলিশ অফিয়ার আমলা দিদির রক্তচক্ষুতে গোলাম হয়ে পড়েন।
আর তারফলেই আই ۔ পি এস ভারতী ঘোষ মায়ের পেটের সন্তান হয়ে হেনো কাজ নেই যা শোনেনি।
আর তা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে দিদি তার মেয়ের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নেই।
তারপর কত ঝড় বয়ে গেছে আই পি এস ভারতী ঘোষের উপর।
এখন ভারতী ঘোষ দিদির ক্ষুব্ধ প্রধান বিরোধী নেত্রী।
আর তাই ভারতী ঘোষ একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বার বার। গতকাল কেশপুরে একটি রক্তদান শিবিরে অংশ নিতে নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বললেন তৃণমূল নেতারাই বড় হার্মাদ তাই ওরা হার্মাদ চিনতে পেরেছে , এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।
কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার অন্তর্গত ধামসাই এলাকায় এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে আসেন ভারতী ঘোষ। কেশপুর থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া বোমাবাজির ঘটনায় শাসক শিবিরকে তীব্র ভাষায় এক হাত নেন তিনি। এ কি সত্য দলীয় ইমেজ বুঝিয়ে দিতে তিনি দাবি করেন একদিকে যখন তৃণমূল বোমা মেরে রক্ত নেবে তখন বিজেপির রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে মানুষকে রক্ত দেবে। এ কি সত্য তৃণমূল নেতা ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেনদের বিরুদ্ধে নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের সংবিধানে যদি কাগজ ছিড়ে ফেলার কথা লেখা থাকে তাহলে ২০২১ এর জনাদেশে তৃণমূলকেই মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দেবে। রাজ্যপালের উদ্দেশে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ।আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে নিজের মত পোষণ করার অধিকার দিয়েছে থেকে সংবিধান। সেই পদের মর্যাদা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। বাংলায় শিল্প তুলে দিয়ে সব শিল্প আর বোমা তৈরির শিল্প রমরমিয়ে চলছে বলেও দাবি করেন দাপুটে বিজেপি নেত্রী।
Leave a Reply