এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জের রনিকে খুঁজছে পুলিশ

Padma Sangbad

সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মাঝে একজন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি।
যদিও দীর্ঘদিন কলেজে কমিটি না থাকায় সে সহ অন্যদের কোন পদ-পদবী নেই। কিন্তু কলেজের রাজনীতি এসব নেতারা সক্রিয় ছিলেন।
রনি শায়েস্তাগঞ্জ একাডেমী থেকে এসএসএসি পাশ করে শাবিপ্রবিতে অর্নাস করে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছে। পড়ালেখায় মেধাবী হলেও ছোটবেলা থেকেই ছিল উগ্র মেজাজের। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও সে তাদের কিছুই পায়নি। এলাকায় এলে ছাত্রলীগের প্রভাব দেখাতো।
ঘটনার পর থেকে সেসহ অন্যরা পলাতক আছে। পুলিশ সে সহ তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ধর্ষণকারীরা । এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ধর্ষণকারীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে তারা তিন-চারজন তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয়। এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ০৯:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জের রনিকে খুঁজছে পুলিশ

Update Time : ০৯:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মাঝে একজন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি।
যদিও দীর্ঘদিন কলেজে কমিটি না থাকায় সে সহ অন্যদের কোন পদ-পদবী নেই। কিন্তু কলেজের রাজনীতি এসব নেতারা সক্রিয় ছিলেন।
রনি শায়েস্তাগঞ্জ একাডেমী থেকে এসএসএসি পাশ করে শাবিপ্রবিতে অর্নাস করে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছে। পড়ালেখায় মেধাবী হলেও ছোটবেলা থেকেই ছিল উগ্র মেজাজের। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও সে তাদের কিছুই পায়নি। এলাকায় এলে ছাত্রলীগের প্রভাব দেখাতো।
ঘটনার পর থেকে সেসহ অন্যরা পলাতক আছে। পুলিশ সে সহ তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ধর্ষণকারীরা । এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ধর্ষণকারীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে তারা তিন-চারজন তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয়। এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।