দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এখনও টানটান উত্তেজনা। এক তরফা সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। বারবার প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে উদ্বেগ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছিল, পদাতিক সেনাদের কর্মকাণ্ড এবং সীমান্তের কাছে নৌবাহিনীর টহল জোরদার করেছে মিয়ানমার। এমনকি মিয়ানমার ভূখণ্ডে গুলির শব্দও শোনা গেছে। বাংলাদেশের উদ্বেগের আরেকটি প্রধান কারণ ছিল, যদি সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও অভিযান চলতে থাকে তাহলে আরও শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ১৫ই সেপ্টেম্বর এই উদ্বেগের কথা নিরাপত্তা পরিষদকেও জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের সেনা মুখপাত্র জেনারেল জাও মিন তুন নিজেই সেনা মোতায়েনের কথা কবুল করেছেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য টহল বৃদ্ধি করেছে সেনাবাহিনী। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের অবস্থান ব্যাখা করেছে। বলেছে, তাদের সামরিক অভিযান বাংলাদেশকে হুমকি দেয়ার জন্য নয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম অবশ্য সে দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে বাংলাদেশ সেনা মোতায়েন করেছে এমন খবর দিয়েছে।।
Leave a Reply