চুয়াডাঙ্গা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইমুল আবরারের মৃত্যু প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৩ অক্টোবর

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মামলাটি মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর প্রেরণের আদেশ দেন। সিএমএম পরবর্তী বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎসংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকেও জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। পরে আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। ১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন । এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিন নেন।গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবুর রহমান।

আপডেট : ০৪:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

নাইমুল আবরারের মৃত্যু প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৩ অক্টোবর

আপডেট : ০৪:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মামলাটি মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর প্রেরণের আদেশ দেন। সিএমএম পরবর্তী বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎসংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকেও জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। পরে আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। ১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন । এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিন নেন।গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবুর রহমান।