চুয়াডাঙ্গা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মব জাস্টিসের’ দায় সরকার এড়াতে পারে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

Padma Sangbad

‘বর্তমান সময়ে ‘মব জাস্টিস’ নতুন এক আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, সন্ত্রাস ও মব সন্ত্রাসে জনজীবনে আশঙ্কা ও আতঙ্ক ক্রমেই বৃদ্ধি’ পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘গুলশানে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসায় ‘মব’ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতিরই প্রমাণ বহন করছে। মধ্যরাতে শতাধিক লোকের এ ধরনের হামলা স্পষ্ট করে যে, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সকল ‘মব জাস্টিসের’ দায় সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।’

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘রাজধানীর অভিজাত এলাকায় যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে সাধারণ নাগরিকরা কতটা নিরাপদ ? এ প্রশ্ন জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি করেছে। সরকারের দায়িত্বশীলতার অভাব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই গুজব ছড়িয়ে জনতাকে উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে। এখন শুধু সতর্কবার্তা শুনতে চায় না, দেশবাসী কঠোর পদক্ষেপ দেখতে চায়। ঘঁনার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারকৃত তিনজনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবার সাহস না পায়। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টারা সঙ্কটের কথা স্বীকার না করলেও দিন দিন জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা বেড়েই চলেছে। এর দায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকেই নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে’ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্য যেদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেদিনই পত্রিকা জুড়েই সারা দেশে খুন, সন্ত্রাস ও ধর্ষণের খবরও ছাপা হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত যখন জানানো হলো যে, ‘মব জাস্টিস’ ও ‘মোরাল পুলিশিং’-এর কোনো সুযোগ এ দেশে নেই। ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে গুলশানের একটি বাড়িতে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা হলো। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণ হলো চোখ বুজে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ‘মব সন্ত্রাস’ চলতে দেওয়া।’

বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘এর পূর্বেও এ ধরনের অসংখ্য কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ এবং তার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, ঘোষণা দিয়ে মাজার ও দরগাহে হামলা, ভাঙচুড়, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। সরকার এসকল বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা গ্রহন করেছে বলে জানা নাই।’

নেতৃদ্বয় ‘এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং অতীতের এমন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং তার মদদদাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করার জোর দাবি এবং জনজীবনসহ জানমালের নিরাপত্তায় সারা দেশের বিবেকবান মানুষদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।’

আপডেট : ১১:১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

‘মব জাস্টিসের’ দায় সরকার এড়াতে পারে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট : ১১:১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

‘বর্তমান সময়ে ‘মব জাস্টিস’ নতুন এক আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, সন্ত্রাস ও মব সন্ত্রাসে জনজীবনে আশঙ্কা ও আতঙ্ক ক্রমেই বৃদ্ধি’ পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘গুলশানে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসায় ‘মব’ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতিরই প্রমাণ বহন করছে। মধ্যরাতে শতাধিক লোকের এ ধরনের হামলা স্পষ্ট করে যে, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সকল ‘মব জাস্টিসের’ দায় সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।’

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘রাজধানীর অভিজাত এলাকায় যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে সাধারণ নাগরিকরা কতটা নিরাপদ ? এ প্রশ্ন জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি করেছে। সরকারের দায়িত্বশীলতার অভাব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই গুজব ছড়িয়ে জনতাকে উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে। এখন শুধু সতর্কবার্তা শুনতে চায় না, দেশবাসী কঠোর পদক্ষেপ দেখতে চায়। ঘঁনার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারকৃত তিনজনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবার সাহস না পায়। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টারা সঙ্কটের কথা স্বীকার না করলেও দিন দিন জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা বেড়েই চলেছে। এর দায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকেই নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে’ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্য যেদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেদিনই পত্রিকা জুড়েই সারা দেশে খুন, সন্ত্রাস ও ধর্ষণের খবরও ছাপা হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত যখন জানানো হলো যে, ‘মব জাস্টিস’ ও ‘মোরাল পুলিশিং’-এর কোনো সুযোগ এ দেশে নেই। ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে গুলশানের একটি বাড়িতে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা হলো। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণ হলো চোখ বুজে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ‘মব সন্ত্রাস’ চলতে দেওয়া।’

বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘এর পূর্বেও এ ধরনের অসংখ্য কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ এবং তার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, ঘোষণা দিয়ে মাজার ও দরগাহে হামলা, ভাঙচুড়, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। সরকার এসকল বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা গ্রহন করেছে বলে জানা নাই।’

নেতৃদ্বয় ‘এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং অতীতের এমন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং তার মদদদাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করার জোর দাবি এবং জনজীবনসহ জানমালের নিরাপত্তায় সারা দেশের বিবেকবান মানুষদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।’