অনলাইন ডেস্ক : রেল স্টেশন নয়, দেখে মনে হবে কোনও দুর্গের প্রবেশদ্বার। সোনারপুর স্টেশনে রেলযাত্রী ও পুলিসের খণ্ডযুদ্ধের পর গত শুক্রবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে এই শাখার বিভিন্ন স্টেশন। কড়াকড়ি ছিল প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে। এদিন সোনারপুর, বারুইপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। তবে বেশ কয়েকজন যাত্রী নিরাপত্তার ফাঁক গলে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়লেও দেখামাত্র তাঁদের ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। রেল বা অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কাউকে স্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। সকলের পরিচয়পত্র দেখে তবেই প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই সোনারপুর, বারুইপুর সহ অন্যান্য স্টেশনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনওভাবেই যাতে অবাঞ্ছিত কেউ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য ছিল বিশেষ নজরদারি। বৃহস্পতিবার যেভাবে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়েছিল, তা যাতে ফের না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন সকালে সোনারপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, স্টেশনে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন রেল পুলিস ও টিকিট পরীক্ষকরা। যাঁরা রেলের কর্মী বা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, একমাত্র তাঁদেরই ছাড়া হয়েছে। এই ফাঁকেই কয়েকজন সাধারণ যাত্রী ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। কেউ কেউ আবার কাকুতি-মিনতি করলে রেলপুলিস ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয়। তবে স্টেশনে থাকা কয়েকজন হকারের কথায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন সাধারণ যাত্রীর আনাগোনা কমই ছিল। বারুইপুর স্টেশনেও প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে টহল চলেছে দিনভর। যখনই কোনও ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকেছে, নিরাপত্তারক্ষীরা উঁকি মেরেছেন কামরায়। ভিতরে অবাঞ্ছিত কেউ রয়েছে কি না, দেখে নিয়েছেন। থাকলে সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন থেকে।
এদিন আরপিএফ এবং জিআরপি যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। রেল পুলিস জানিয়েছে, কোনও ট্রেনে রেলের কর্মী ছাড়া আর কাউকে উঠতে দেওয়া হয়নি। প্ল্যাটফর্মের ভিতরে সাধারণ যাত্রী যাতে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ট্রেন ভাঙচুরের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।।
Leave a Reply